এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চাপ বাড়িয়ে ত্রিপুরাতেও উঠল “গো ব্যাক নরেন্দ্র মোদি” শ্লোগান

চাপ বাড়িয়ে ত্রিপুরাতেও উঠল “গো ব্যাক নরেন্দ্র মোদি” শ্লোগান


নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনে এ যেন লোকসভা ভোটের আগে প্রবল বিপাকে পড়তে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ত্রিপুরায় দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার উপজাতি প্রবল বিক্ষোভে সামিল হলেন।

সূত্রের খবর, “মহারাজা” প্রদ্যুৎকিশোর দেব বর্মনকে সামনে রেখে ত্রিপুরার খুমলুংয়ে বুধবার প্রবল বিক্ষোভ দেখান কিছু মানুষ। যেখান থেকে বিজেপি বিরোধী স্লোগান ওঠার পাশাপাশি “গো ব্যাক নরেন্দ্র মোদি” শ্লোগানও তোলা হয়। এমনকী এই মিছিল শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুলও পোড়ান বিক্ষোভকারীরা। কেন তাদের এই বিক্ষোভ? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মিছিলে অংশ নেওয়া মঙ্গল দেববর্মা বলেন, “অরাজনৈতিক এই মিছিলে বিজেপি ও তাদের শরিক আইপিএফটির যুবকরা অংশ নিয়েছেন। আমাদের একটাই দাবি যে, এই নাগরিকত্ব বিল প্রত্যাহার করতে হবে।”

অন্যদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আগামী 4 ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার পাশাপাশি সারাদেশে সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান ত্রিপুরার রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক গৌতম দাস। তবে শুধু ত্রিপুরায় নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সারাদেশে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী পালে হাওয়া লাগাতে এনআরসিকে ইস্যু করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলো।

সূত্রের খবর, দেশের প্রায় আট রাজ্যের 11 টি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তাঁরা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদের পথ বেছে নেবে এবং ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও দিয়েছে তাঁরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই উত্তর-পূর্বের 25 টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপির টার্গেট ছিল 21 টি আসন নিজেদের দখলে রাখা।

তবে এনআরসির বিরুদ্ধে যেভাবে বিরোধী দলগুলো গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে, তাতে তাঁরা কতটা তাঁদের টার্গেট ছুঁতে পারবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেকেই। জানা গেছে, মঙ্গলবার গুয়াহাটির একটি পাঁচতারা হোটেলে বিভিন্ন দলের মধ্যে একটি বৈঠক হয়।

[content_block id=3910

যেখানে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপির সভাপতি কনরাড, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী তথা এমএনএফ নেতা জোরাম থাঙ্গা, এনপিপি নেতা তথা মনিপুরের উপমুখ্যমন্ত্রী জয়কুমার সিং, আইপিএফটি নেতা তথা ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবারকুমার জামাতিয়া, অগপ নেতা তথা অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত, এনপিএফ তথা নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেইলিং উপস্থিত ছিলেন।

তবে এই বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির কোন নেতা মন্ত্রীকে। আর এই বৈঠক শেষেই এনপিপি সভাপতি কনরাড জানিয়ে দেন যে, কোনো মতেই কেন্দ্রের এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে মেনে নেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে এবার উত্তর পূর্ব ভারত দখলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এনআরসি নিয়ে মাঠে নেমে লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে তৎপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!