এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জল্পনা বাড়িয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি ফর্মুলায় বাংলা দখলের রণকৌশল রাহুল গান্ধীর

জল্পনা বাড়িয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি ফর্মুলায় বাংলা দখলের রণকৌশল রাহুল গান্ধীর

লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের সাংগঠনিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে বঙ্গে উড়ে এসেছিলেন বাংলার নয়া এসআইসিসির ইনচার্জ গৌরব গগৈ। বঙ্গের দায়িত্ব থেকে সি পি জোশীকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে পড়শি রাজ্য আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ এর পুত্র গৌরব গোগৈকে। সি পি জোশীর কাজে সন্তুষ্ট ছিল না জাতীয় কংগ্রেস পার্টি। অভিযোগ উঠেছিলো তিনি তাঁর কাজ ঠিকঠাক ভাবে পালন করছেন না,তাই তাকে হটিয়ে সম্প্রতি গৌরবকে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

দায়িত্ব এসেই নিজের মতো করেই কাজ সামলানোর উদ্যোগ দেখা গেলো জাতীয় হাটপার্টির নতুন পর্যবেক্ষকের মধ্যে । তিনি বঙ্গের কংগ্রেস নেতৃত্বদের আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর থাকার বাড়ি খুঁজে রাখতে। দুদিন কোলকাতায় থেকে তিনি সাংসদ,বিধায়ক,প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, জেলা সভাপতি,শাখা সংগঠনের নেতৃত্বদের সঙ্গে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের রণনীতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তিনি। বার্তা দিয়ে তিনি জানান, এআইসিসি-র কাছে তাঁদের পৌছাতে হবে না। এআইসিসিই তাঁদের কাছে আসছে। গৌরব গগৈ জাতীয় কংগ্রেস সভাপতির কাছে বঙ্গের কংগ্রেস ঘাঁটির সমস্ত খবর দফায় দফায় পৌছে দেবেন।
জানা গেছে, এআইসিসির নতুন ইনচার্জের কাছে কংগ্রেসের নেতারা যাতে নিসংঙ্কোচে কথা বলতে পারেন তাঁর জন্যেই নাকি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী গৌরবকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি অবশ্যই নিজের কাজ ঠিকভাবে সামলাবেন হয়তো। তবে তাঁর হাতে কোনো ম্যাজিক নেই। বঙ্গের কংগ্রেস ঘাঁটিকে শক্তপোক্ত করার জন্য যা করার তাঁদেরকেই করতে হবে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ওদিকে বঙ্গের কংগ্রেস নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসে গৌরব গগৈ সবার বক্তব্য,অভিযোগ ধৈর্য সহকারে শুনলেন। জানাতে চাইলেন বঙ্গে কংগ্রেসকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলেতে কার কী অভিমত! এরপর নিজে দলের সাংগঠিক খুঁতগুলো নিয়ে আলোচনা করলেন। এদিনের বৈঠকে সকলের সঙ্গে আলোচনা করার পর গৌরব আরো জানালেন যে, এবার তিনি ট্রেন-বাস-গাড়িতে জার্নি করে বাংলার বিভিন্ন যায়গায় যাবেন। কথা বলবেন মানুষের সঙ্গে। কংগ্রেস সম্পর্কে তাঁদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করবেন। জানা যাচ্ছে, এদিনের বৈঠকের আগে তিনি সকালেই কালীঘাটে গিয়েছিলেন তীর্থ দর্শন করতে।
অন্যদিকে, রাহুল দূতের এভাবে কার্যভার সামলানোতে অসন্তোষের আভাস পাওয়া গেলো বঙ্গ কংগ্রেসের দলীয় অন্দরেই। রাহুল গগৈ এর কোলকাতায় উড়ে এসে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দিক খতিয়ে দেখার প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের কেউ কেউ তো বলেই ফেললেন,” এর মানে হচ্ছে বাংলার দলের উপরে নজরদারির জন্য রাহুল গাঁধী এবার চৌকিদার বসালেন। এদিন বৈঠকের পরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতা অভিযোগের সুরে বলেন যে,কংগ্রেসের নতুন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে এই বৈঠকের খবর সকলের কাছে দেওয়াই হয়নি। এ কথার পাল্টা জবাব ক্ষোভের সুরে দিতে দেখা গেছিলো ফারাক্কার বিধায়ক মইনুক হককে। তিনি জানিয়েছিলেন,কেন কংগ্রেস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে! গৌরবজি সকলকেই বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধীর নজর এখন সংগঠন চাঙ্গা করার দিকেই।

এদিকে এই নিয়ে রাজনৈতিকমহলে পারদ চড়েছে। কেননা তারা এর মধ্যে বিজেপি যে ফর্মুলায় ত্রিপুরা দখল করেছিল সেই ফর্মুলায় দেখছেন এতে। তাঁরা মনে করছেন যে ত্রিপুরাতে বিজেপি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিলো সেখান থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য সুনীল দেওধরকে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সুনীল দেওধরও জাঁকিয়ে বসে সংগঠনকে মজবুত করে সরকার গঠন করেছেন। তাই এখানেও রাহুল গান্ধী পড়শি রাজ্য আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ এর পুত্র গৌরব গোগৈকে বঙ্গের দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি গৌরব গোগৈ কলকাতায় এসে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখন বঙ্গ কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কি হবে তার দিকে তাকিয়ে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!