এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে প্রস্তুত তৃণমূলের ব্লুপ্রিন্ট, কাজে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা

ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে প্রস্তুত তৃণমূলের ব্লুপ্রিন্ট, কাজে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এখন প্রধান লক্ষ্য তেইশের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে রয়েছে বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। আর সেই সরকারকে ফেলে তৃণমূল চাইছে নিজেদের সরকার তৈরি করতে। যদিও শুধুমাত্র সংগঠন বাড়াতে গিয়ে তৃণমূলকে একের পর এক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেখানে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণায় আরো যে বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তাঁদেরকে তা বলাই বাহুল্য। বেশ কয়েক দিন যাবত ত্রিপুরায় যাতায়াত বেড়েছে এ রাজ্যের তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের। পাশাপাশি ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় গিয়েছেন এবং সেখানে তাঁর যাত্রাপথে পথ অবরোধ থেকে শুরু করে গো ব্যাক স্লোগান, তাঁর গাড়িতে হামলা সবকিছু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে বিপ্লব দেবকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, তিনি এবার থেকে অন্তত মাসে চারবার ত্রিপুরায় আসবেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার না মানার মনোভাব ত্রিপুরা জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম সমীকরণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যত দেখা গেছে, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে ক্রমাগত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও টার্গেট করা হয়েছিল।

কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠান্ডা মাথায় সেগুলিকে এড়িয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূলের পক্ষে ত্রিপুরার জয় কতটা সহজ হতে চলেছে? কার্যত ত্রিপুরা জয়ের বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমীকরণকে মাথায় রাখছে তৃণমূল। তার মধ্যে অন্যতম হলো ত্রিপুরার বাংলাদেশ আবেগ। কার্যত ত্রিপুরা বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আসায় তাঁদের মধ্যে বাংলা সেন্টিমেন্ট কাজ করছে। সেই আবেগকে ভোটের ময়দানে কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত তৃণমূল। পাশাপাশি ত্রিপুরায় শিক্ষার হার যথেষ্ট ভালো। শিক্ষা নিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে একটা আলাদা গর্ব আছে। তাই শিক্ষার বিষয়টিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সে কারণেই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ত্রিপুরার জয়ের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ত্রিপুরার বিধানসভার নির্বাচনে বামেরা একটা বড় ফ্যাক্টর। গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের থেকে মাত্র 2 শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকায় বিজেপি সরকার গঠন করে। ত্রিপুরার বহু মানুষ এখনো মনেপ্রাণে মানিক সরকারকে স্বচ্ছ ইমেজধারী বলে মানেন। কার্যত এই বাম ভোটের একটা অংশকে তৃণমূল যদি নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে পারে, তাহলে তৃণমূলের জন্য পরিস্থিতি অনেকটা সহজ হবে ত্রিপুরায়। আর ঠিক এই জায়গা থেকেই কাজে লাগানো হচ্ছে সিপিএমে প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবার ত্রিপুরায় কৃষক এবং শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।

সেক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠনেও ভাগ বসাতে চাইছে তৃণমূল। এবং সর্বোপরি ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী আবেগ পুরোমাত্রায় তৃণমূল ভোটের ময়দানে ব্যবহার করতে চাইছে। কার্যত ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম মানিক্য, রবি ঠাকুরের বিসর্জন, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির প্রত্যেকটির সঙ্গে একটি আবেগ কাজ করছে। আর সেই আবেগকেই হাতিয়ার করে তুলতে চাইছে তৃণমূল। তবে বিশেষজ্ঞদের এটাও প্রশ্ন, একাধিক সমীকরণ তৈরি করলেও কি বিজেপি সরকারকে ফেলার মতন ক্ষমতা রাখছে তৃণমূল ত্রিপুরায়? বাংলায় যে কাজ সহজসাধ্য, বাংলার বাইরে সেই কাজ হওয়া কিন্তু অত্যন্ত কঠিন, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। আপাতত তৃণমূলের প্রত্যেকটি সমীকরণ কিভাবে 23 এর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় কাজে লাগে এখন সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!