প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  সম্প্রতি ত্রিপুরাতে ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে যাওয়া হলে তাদের যুব সংগঠনের তিন হেভিওয়েট নেতা নেত্রী সহ মোট 11 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর তারপরেই ত্রিপুরাতে গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ দোলা সেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ খোয়াই থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

তাদের নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়া না হলে তারা দীর্ঘক্ষন থানায় বসে থাকবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় এরপর দীর্ঘক্ষন ধরে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর এবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ চার নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল ত্রিপুরা পুলিশ। এদিকে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার সাথে সাথেই কড়া বার্তা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে ভয় পেয়ে ত্রিপুরার প্রশাসন এই কাজ করেছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, এদিন ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, কুনাল ঘোষ এবং সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আর তারপরেই এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনকে। এদিন তিনি বলেন, “বিজেপির মোদী এবং শাহবাবুরা সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় পায়। সেই কারণে রাজ্যসভায় যখন তৃণমূল কংগ্রেস ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করে, তখন বেছে বেছে আমাদের দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়। এরা প্রতিমুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছে। তাই সেই কারণে এইরকম ভাবে কন্ঠরোধ করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল। এটা আসলে বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি।” অর্থাৎ দোলা সেন নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গেলে তাদের এভাবে বাধা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল করার পর তৃণমূল কংগ্রেস এখন ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে সংগঠন শক্তিশালী করতে মনোযোগী হয়ে পড়েছে। সেদিক থেকে তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির দখলে থাকা ত্রিপুরা। কিন্তু সেই ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাওয়ার সাথে সাথেই রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হতে না হতেই গর্জে উঠতে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনকে। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে যে আরও বেশি করে সোচ্চার হবে ঘাসফুল শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।