প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এবার ত্রিপুরায় গিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা বাহুল্য, রবিবার সকালে তৃণমূলের যুব সংগঠনের তিন নেতা নেত্রীদের ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর তারপরেই এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ত্রিপুরাতে পাড়ি দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। থানায় গিয়ে গোটা বিষয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি।

আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই বলে দাবি করতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি রাজ্যে শাসনের আইন চলছে বলেও দাবি করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। স্বভাবতই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে ত্রিপুরার বিজেপি প্রশাসনের অস্বস্তি যে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, এদিন ত্রিপুরাতে গিয়ে গোটা বিষয়ে প্রতিবাদ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় আইনের শাসনের বদলে চলছে শাসনের আইন। গণতন্ত্র নেই। বিরোধীদের অধিকার নেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার। যারা এদের চ্যালেঞ্জ করছে, তাদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। গণতন্ত্রের কি অবস্থা, তা মানুষ দেখছেন।” পাশাপাশি আগামী দিনে যে তিনি ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিটি বিষয়ে তুলোধোনা করতে প্রস্তুত, সেই কথাও জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, আগামী দিনে তৃণমূলের প্রতিবাদ সমান গতিতে চলবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলীয় সংগঠনকে বিস্তৃতি ঘটাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেদিন থেকে ত্রিপুরা তাদের প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। 2023 সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন থেকেই এখানে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু শনিবার দিনভর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সেই ত্রিপুরা।

তৃণমূলের জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছে বলে অভিযোগ করেছিল ঘাসফুল শিবির। আর তারপরই তারা তাদের অবস্থান শুরু করলে তৃণমূলের প্রায় 11 জন নেতা-নেত্রীকে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে পা রেখে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে শোরগোল ফেলে দিলেন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।