প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ত্রিপুরার হোটেলে গিয়ে ঘোর অব্যবস্থা ও হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, পাঁচতারা হোটেল হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। খাবারের অর্ডার দিয়েও খাবার পাওয়া যায়নি। এমনকি খাবার টেবিলে বসে আলোচনা পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। এমনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ত্রিপুরার পোলো টাওয়ার হোটেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। এখন এই হোটেলে উঠেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, হোটেলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। চার-পাঁচজন একসঙ্গে টেবিলে খেতে বসে আলোচনা করলেও হোটেলের পক্ষ থেকে আপত্তি করা হয়েছে। খাবারের অর্ডার বাতিল করে দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মাঝে মাঝেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে। তাঁর জীবনে এটা প্রথম অভিজ্ঞতা যে, পাঁচতারা হোটেলেও এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, গতকাল দুপুরে প্রায় আড়াই ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল।

সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন যে, হোটেল কর্তৃপক্ষের ওপরে এমনই লজ্জাজনক চাপ দেয়া হচ্ছে। যেকোন আলোচনার জন্য ৪,৫ জন মিলে একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে পারছেন না। খেতে গেলে আটকে দেয়া হচ্ছে। খাবারের অর্ডার দেয়া হলে অর্ডার বাতিল করে দেয়া হচ্ছে। তবে, এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, এরজন্য তিনি হোটেল কতৃপক্ষকে দোষ দিচ্ছেন না। বিজেপির পক্ষ থেকে অফিশিয়াল মেইল করে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তৃণমূল যেন ত্রিপুরায় কোন সংগঠন গড়ে তুলতে না পারে।

এই হোটেলে সম্প্রতি হানা দিতে দেখা যায় একাধিক সরকারি আধিকারিককে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জিএসটি দেয়নি এই হোটেল, এ কারণে হোটেলে প্রশাসনিক কর্তাদের অভিযান চলেছিল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এই হোটেলে তৃণমূলের বহু নেতা-নেত্রীদের থাকতে দেয়া হয়েছিল। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা এই হোটেলে উঠেছেন। আগামী দিন তাঁদের যাতে এই হোটেলে থাকতে দেওয়া না হয়, এরজন্যই হোটেলের ওপর চাপ দেয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য রাখতে দেখা যায় নি গেরুয়া শিবিরকে।