এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভিন্ন সুর মমতার, জল্পনা তুঙ্গে!

ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভিন্ন সুর মমতার, জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা আক্রান্ত হওয়ার পর এবং তাদের গ্রেপ্তারের পর নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত আক্রান্ত নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে স্বয়ং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে গিয়ে প্রধান আক্রমণ করেছেন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে। যেখানে বিপ্লব দেবের পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু আক্রান্ত তৃণমূলের নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেও, ভিন্ন সুর পোষন করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্ষেত্রে দলের একাংশ নেতা কর্মীরা বিপ্লব দেবের ঘাড়ে ত্রিপুরার এই ঘটনা নিয়ে দোষ দিলেও এর পেছনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি। অর্থাৎ ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহের কথা মত পুলিশকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অর্থাৎ একেবারে বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতাকে এই ব্যাপারে আক্রমণ করে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মাটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। আর তারপরেই ত্রিপুরাতে পৌঁছে গিয়ে থানায় গিয়ে কথা বলার পাশাপাশি আইনজীবীদের দিয়ে সেই তিন ছাত্র যুব নেতাকে জামিন করিয়ে নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতেই বিমানে করে সেই নেতা-নেত্রীকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনেন তিনি। তবে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হওয়া সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্ত বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আর তাদের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়ে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তৃণমূলের একাংশ নেতা-নেত্রীদের আক্রমণ করার জন্য ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে দোষারোপ করেছিলেন, সেখানে তা থেকে সরে এসে সরাসরি এই গোটা ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই সমস্ত কিছু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে হয়েছে। তা না হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সমালোচকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই তৃণমূলের দুই পক্ষের ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ্যে চলে এলো। অনেকের কাছে এটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করতে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন। আর সেই কারণেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এই সাহস হয়েছে একেবারে উপরতলা থেকে নির্দেশ আসার জন্যই বলে বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছুটা হলেও ভিন্নতা সামনে এসে গেল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে পা রেখে এই গোটা ঘটনার জন্য বারবার ত্রিপুরা প্রশাসন এবং সেখানকার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার মাটিতে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করলেন। যার ফলে একাংশ বলছেন রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা তুলতে এবং গোটা বিষয়টিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপে রাখতেই দলের নেতাকর্মীদের একাংশের সুরের সঙ্গে সুর  মিলিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!