এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ত্রিপুরার পর এবার তৃণমূল হাত বাড়াচ্ছে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যটির দিকে, বাড়ছে পালাবদলের ইঙ্গিত

ত্রিপুরার পর এবার তৃণমূল হাত বাড়াচ্ছে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যটির দিকে, বাড়ছে পালাবদলের ইঙ্গিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় জয়ের পর এবার দেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। আর এক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রীর বড়সড় সহায় হয়ে উঠেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে পৌঁছে গেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক। আর সদ্য ত্রিপুরা সফর করে এলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার ত্রিপুরার পর তৃণমূলের নজরে রয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য অসম। অসমের কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কিরিপ চালিহা তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন, এমন একটা সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের বৈঠক চলছিল। এরপর থেকেই বাড়ছে জল্পনা।

প্রসঙ্গত, অসমে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। বিজেপি যতই বাড়ছে, কংগ্রেস ততই রক্তশূন্য হয়ে পড়ছে। কংগ্রেস ভেঙেই এই রাজ্যে উত্থান ঘটেছে বিজেপির। কংগ্রেসের দাপুটে নেতা হলেন প্রাক্তন সাংসদ কিরিপ চালিহা। তবে, দলের কাজে এখন তাঁকে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, দলের বেশ কিছু নেতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না তিনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এরপরই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদি তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন, তবে অসমে অনেকটা বাড়তি অক্সিজেন পাবে তৃণমূল। তাঁর সাংগঠনিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দলের শ্রীবৃদ্ধির চেষ্টা করতে পারবে তৃণমূল। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা কিরিপ চালিহা একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনাও বাড়ছে। যদিও তিনি নিজে এখনো পর্যন্ত কিছু বলেননি। তবে, দিল্লিতে বৈঠক থেকে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। এই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় করতে দেখা গেছে তাঁকে।

সেইসাথে নিজের দলের প্রতি তোপ দাগতেও দেখা গেছে তাঁকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, সে রাজ্যের কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তা করেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন, জাতীয় স্তরে কংগ্রেস বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেত্রীর প্রয়োজন আছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়টি তিনি তাকে জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে, বাংলার মধ্যে আটকে না থেকে সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি পদার্পণ করুন। দেশের তাঁকে দরকার। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, তাঁরা মনে করেন ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারবেন নরেন্দ্র মোদিকে পরাস্ত করতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে সময় দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি তাঁকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।এবার কংগ্রেস সাংসদ কিরিপ চালিহা যদি তৃণমূলে যোগদান করেন। তবে রাতারাতি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে অসম তৃণমূলের। যা আগামী দিনে বিজেপির বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে, এমনটাই একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!