প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ত্রিপুরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তৃণমূলের অভিযোগ, চক্রান্ত করে থানায় ডেকে এনে মারার চেষ্টা করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ ত্রিপুরা যাত্রার পূর্বে বিজেপিকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রাত্য বসু।

বিমানবন্দরে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। যখনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন, তখনই সেখানে বিপ্লব দেবের ঝটিকা বাহিনি আক্রমণ চালাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি আক্রমণ করে তৃণমূলকে মারছে, কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে।

ব্রাত্য বসু জানালেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে, সমস্ত কিছুই করেছে বিজেপি। যার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সায়নী ঘোষকে ছাড়িয়ে আনতে আজ তিনি থানায় যাবেন, দরকার হলে আদালতের দ্বারস্থও হবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার অনুমতি দিচ্ছে না এটা ভাবা যায় না। ভোটের আগে বিজেপি ডজনখানেক পদযাত্রা করেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে করেছে পঞ্চাশটি সভা। নরেন্দ্র মোদী নিজে এখানে এসে সভা করেছেন। প্রত্যেকটি সভার অনুমতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। কিন্তু ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার যা করছে তা হল গণতন্ত্রের লজ্জা।

অন্যদিকে আজ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ ত্রিপুরা রওনা দেবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন যে, বিজেপির হিংস্র গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তারা লড়াই করবেন। এটাই তাদের অঙ্গীকার। বিপ্লব দেবের যদি ক্ষমতা থাকে তবে তাদের আটকে দেখান।