প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত সময় যাচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে তৃণমূল সংগঠন বাড়ানোর কাজ করে চলেছে। আর সেই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের যে পদে পদে বিজেপি সরকারের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। কিছুদিন আগেই আইপ্যাক কর্মীদের আটক করে রাখা হয় হোটেলে। সেসময় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা ত্রিপুরায় যান এবং পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর অভিষেক ব্যানার্জ্জীর গাড়িতেও হামলা হয় ত্রিপুরায়। আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ত্রিপুরায়। বর্তমানে ত্রিপুরায় রাজ্য তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রী সুদীপ, জয়া এবং দেবাংশু সংগঠন তৈরি করার কাজে রয়েছেন।

আর সেই কাজে যেতে যেতে গিয়ে ত্রিপুরার বুকে হামলার মুখে পড়তে হল বাংলার যুবনেতা তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্যদের। তাঁদের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূল যুব নেতা সুদীপ ও নেত্রী জয়া আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এই ঘটনার এর কিছুক্ষণ পরেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাতে ঘেরাও হলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ধর্মনগরে। কার্যত ধর্মনগরে তাঁর কনভয় আটকে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে বিপ্লব দেবের কনভয় বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। প্রসঙ্গত,শনিবার ধর্মনগরে তৃণমূলের কর্মসূচি ছিল। কিছুদিন আগে ত্রিপুরার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

এদিন তৃণমূলের কর্মসূচি সফল করতে সুবল ভৌমিক এবং আরো কিছু নেতার ধর্মনগরে আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন। দেবাংশুরা কিছুক্ষণ পরে আগরতলা থেকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু দেবাংশুদের গাড়ি যখন আমবাসায় আসে, তখন তাঁদের গাড়ির ওপর হামলা হয়। এবং এই খবর ঝড়ের গতিতে সুবল ভৌমিকের কানে যায়। কাকতালীয়ভাবে এদিন আবার সরকারি কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ধর্মনগরে গিয়েছিলেন। দেবাংশুদের গাড়ির ওপর হামলার খবর পাওয়া মাত্রই বিপ্লব দেবের কনভয় আটকে ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল। সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন সুবল ভৌমিক। এমনকি পুলিশের সঙ্গেও তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে।

তবে দেবাংশুদের ওপর হামলার কারণে ধর্মনগরে তৃণমূলের কর্মসূচি বাতিল হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে বিজেপির দিকেই। কারণ, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার। তার অগোচরে কিছুই হয়না। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা ত্রিপুরায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য যেমন বাড়াচ্ছে, ঠিক সেভাবেই তৃণমূলকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে। ঘটনাসূত্র দেখে বলে দেওয়া যায়, আগামী দিনে ত্রিপুরায় তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে ।