তৃতীয়বারের বঙ্গজয়ের পর এবার কি দিল্লিজয় করতে পারবে তৃণমূল? কি বলছেন দিলীপ ঘোষ? জেনে নিন জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 25, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে তাৎপর্যপূর্ণ জয় আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে তৃনমূলের। এবার তাই দিল্লিজয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। সেই উদ্দেশ্যেই বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে তৃণমূল। আগামীকাল দিল্লি রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, দিল্লিতে একাধিক বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি তবে দেশজয়ে সক্ষম হবে তৃণমূল? আজ এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, ২০১৯ সালেও এ ধরনের চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, ব্রিগেডে জনসভা করেছিলেন। কিন্তু তাতে ফল কি হয়েছে? এবারও তিনি বুঝতে পারছেন যে, বাকি বিরোধীরা সকলেই তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে খুনোখুনি শুরু হয়েছে। ২০২৪ এ তিনি ভোটে লড়তে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি। রাজ্য জয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেও মাত্র ৭৭ টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। তবে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। দলের এই ফলাফল সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, ৫ বছর আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শতাংশ ছিল ১০, এখন বিজেপির ভোট হয়েছে ৩৮ শতাংশ। ৩ থেকে ৭৭ এ এসে পৌঁছেছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস। যারা শেষ হয়ে গেছে। আবার রাজনীতি মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যে, বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর এখন দিল্লিতে প্রধান মোদি বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জানান, মুখ তৈরি করা হলো পশ্চিমবঙ্গের একটা বাতিক। একসময় জ্যোতি বসুকে মুখ করার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি চলে গেছেন। সিপিআইএম, সিপিআই এখন শেষ হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রমোশন চাইছেন। কিন্তু মানুষ যে তাঁকে পরাস্ত করেছে সেটা তাঁর বোঝা উচিত। তিনি আরো জানালেন, অন্যান্য রাজ্যগুলিতে মানুষকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলার মানুষ সচেতন আছেন, এজন্য নিজেরাই তারা টিকা নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকার ভ্যাকসিন দিতে পারছে না। সংসদে তৃণমূলের বিক্ষোভ সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, সংসদে খারাপ ব্যবহার করে, সাসপেন্ড হয়ে সংসদের কাজ স্থগিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। সংসদে কাজ হলে পশ্চিমবঙ্গের হিংসার কথা উঠতে পারে। এ কারণে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। আপনার মতামত জানান -