এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নবান্ন অভিযানের পরেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল,বিজেপিকে মাত দিতে নয়া কর্মসূচি শাসকশিবিরের !!

নবান্ন অভিযানের পরেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল,বিজেপিকে মাত দিতে নয়া কর্মসূচি শাসকশিবিরের !!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করাই এখন তৃণমূলের কাছে প্রধান লক্ষ্য। আর তাই বিভিন্ন জেলায় সংগঠনে যেমন পরিবর্তন আনা হচ্ছে, ঠিক তেমনই এবার রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় কর্মী সম্মেলনের উদ্যোগ নিল শাসকদল। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের যেমন চাঙ্গা করা হবে, ঠিক তেমনই বিজেপির বিরুদ্ধে আগামী দিনে কোন কোন বিষয় তুলে ধরে প্রচার করতে হবে, তাও ঠিক করে দেওয়া হবে বলে খবর।

মূলত রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় এই কর্মী সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বুথের সংগঠনের ওপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হবে। কেননা বুথের সংগঠন ঠিক না থাকলে সেভাবে জয়লাভ করা কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই তৃণমূল কংগ্রেস এখন বিধানসভা ভিত্তিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সেই দিকটিতেই সবথেকে বেশি জোর দিতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুজোর আগে কর্মী সম্মেলন সেরে ফেলতে হবে। অর্থ্যাৎ কর্মীদের কথা শুনে বুথের সংগঠনকে ঠিক করে আগামী দিনে বিজেপিকে কুপোকাত করতে তৃণমূলের এই রাজনৈতিক কর্মসূচি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, রবিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মালা রায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের মত শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরা। আর সেখানেই আগামী দিনে কিভাবে প্রচার প্রক্রিয়া চালাতে হবে, তা স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে প্রতিটি তৃণমূল নেতার বক্তব্য থেকেই উঠে আসে বিজেপি বিরোধীতাই তাদের প্রধান অস্ত্র হতে চলেছে। হাথরাসের ঘটনা থেকে শুরু করে কৃষি বিল, বর্তমানে এই সমস্ত ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

তাই আগামী দিনেও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে নানা জনবিরোধী নীতিকে তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস যে মানুষের মন জয় করতে উদ্যত হবে, তাই এই বৈঠক থেকে উঠে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় প্রতিটি তৃণমূল নেতা নেত্রী বলেন, “বিজেপি যেভাবে দেশের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে, তা আটকাতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলা থেকে 18 টি আসন দখল করেছে। আগামী দিনে বাংলা জয় করতে সরাসরি বাংলার দিকে নজর রাখবেন অমিত শাহ। তাই এই পরিস্থিতিতে লড়াইটা যে খুব একটা সহজ নয়, তা ভালোই বুঝতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তাই বুথের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিটি বিধানসভায় পুজোর আগেই কর্মী সম্মেলন সেরে নিতে চাইছে শাসকদল। তবে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন তাদের সংগঠনকে কতটা চাঙ্গা করে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে এর কোনো সুফল পায় কিনা ঘাসফুল শিবির, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!