প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে অভিনেতা দিলজিৎ দোসঁহের সঙ্গে বিরোধের জন্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কঙ্গনা রানাওয়াতের নাম। শনিবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি বলেন, শাহীনবাগের বিক্ষোভের মতোই তিনি কৃষকদের বিক্ষোভের বিষয়ে কথা বলবেন। সেইসঙ্গে ১০-১২ দিনের মধ্যে তিনি অনলাইনে যে ধরণের মানসিক ও মানসিক অত্যাচার ও ধর্ষণের হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন তার কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরে, কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা তাঁর অধিকার বলেই মনে করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথামত এটি প্রমাণিত হয়েছে যে এই পুরো আন্দোলনটি রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত হয় এবং সন্ত্রাসীরাও এতে অংশ নেওয়া শুরু করেছিল। দিলজিতের কৃষকদের বিক্ষোভ সম্পর্কে জাল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এবং এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়া প্রবীণ শিখ মহিলাদের জন্য অনুচিত শব্দ ব্যবহারের জন্য মুখ খুলেছিলেন তিনি।

শুধু তাই নয়, তিনি ছাড়াও তাপসী পান্নু, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাদা থেকে শুরু করে অ্যামি বির্কের প্রত্যেকেই কৃষকদের প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে সম্প্রতি কঙ্গনা রানাউত মেক্সিকো সৈকত থেকে তাঁর একটি পুরানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সমালোচনামূলক মন্তব্যের সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

ওই ছবিতে তাঁকে বিকিনি পরে সমুদ্র সৈকতে বসে থাকতে দেখা যায়। সেইসঙ্গে লি ছবির নিচে লেখা দেখা যায়, “শুভ সকাল বন্ধুরা, আমি আমার জীবনে যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গাটি পরিদর্শন করেছি তা হ’ল মেক্সিকো, সুন্দর তবে একটি অনির্দেশ্য জায়গা, এখানে মেক্সিকানের একটি ছোট দ্বীপ টিউলের একটি চিত্র,”। আর এরপরই বুধবার কঙ্গনা রানাওয়াত নিজের টুইটারে গিয়ে নিজের আরো একটি ছবি শেয়ার করেন।

সেই ছবির নিচে তিনি হিন্দিতে একটি বার্তা লেখেন। যেখানে তিনি বলেন যে, ধর্মের কথা বললেই তাঁর উপহাস করা লোকদের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব দেখানোর ভান করা বন্ধ করা উচিত। তাঁর কথায়, “আমার বিকিনি ছবি দেখে কিছু লোক আমাকে ধর্ম ও সনাতনের বক্তৃতা দিচ্ছেন। কিন্তু দেবী ভৈরবী চুল খোলা অবস্থায় কাপড় ছাড়াই, রক্ত ​​পান করে তোমার কাছে এলে কী হবে? আপনি ভয় পাবেন। আর নিজেকে ভক্ত বলছেন? ধর্মের উপর কর্তৃত্ব করার ভান করবেন না …. জয় শ্রী রাম”।

তাঁর এই টুইট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। বস্তুত ঠোঁট কাটা হিসেবে বরাবরই বলিউডের এই অভিনেত্রী পরিচিত হয়ে এসেছেন। তবে সেই সঙ্গে মুখ খুলে বারবার ট্রোলেডও হতে হয়েছে তাঁকে। তবে তিনি দমে যাওয়ার পাত্রী যে নন, সেটাই আরো একবার নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তিনি।