ইংলিশবাজার নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাসকদলের অস্বস্তি বিশেষ খবর মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য July 1, 2018 রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এখন অন্যতম মাথাব্যথার কারণ ইংলিশবাজার। এক সময় কংগ্রেসের গড় ছিল এই ইংলিশবাজার বা বলা ভালো ‘কংগ্রেস’ নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর গড় ছিল। বাম জমানাতেও এখানে এখানে একের পর এক নির্বাচনে হাসতে হাস্তে জিতেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। আর তারপরেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যোগ তৃণমূলে, উপনির্বাচনে জিতে মন্ত্রীও হন। কিন্তু তাঁর ও তৎকালীন জেলার আরেক দাপুটে মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্রমশ জমি হারাতে থাকে তৃণমূল, প্রকাশ্যেই ভর্ৎসনা করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন কিছুমাত্র হয় না। ফলস্বরূপ ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে পৰ্যায়ত হন কৃষ্ণেন্দুবাবু। কিন্তু যাঁর কাছে পরাজিত হন সেই বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত ‘নির্দল’ নীহাররঞ্জন ঘোষ যোগ দেন তৃণমূলে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এরপরেই একদিকে যখন শাসকদলে উল্কার গতিতে উত্থান হচ্ছে নীহারবাবুর, অন্যদিকে তখন আরো বেশি জমি হারাতে থাকেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। এমনকি ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের পদটিও তাঁর কাছ থেকে একসময় ছিনিয়ে নেন নীহারবাবু। আর তারপর থেকেই যেন শাসকদলের অস্বস্তি তীব্রতর করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া ইংলিশবাজার ঘিরে, যার মধ্যে বাদ পরে না পুরাসভাও। আর এবার সেই ইংলিশবাজার পুরসভায় গত ছমাস ধরে বোর্ড অব কাউন্সিলারসের বৈঠক না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শাসক ও বিরোধী – দু পক্ষেরই কাউন্সিলররা। পুর আইন অনুসারে প্রতিমাসেই এই বৈঠক করার কথা, অথচ বিগত ছমাসে তার নামগন্ধও নেই। ফলে একদিকে যেমন তৈরী হয়েছে আইনি জটিলতা, অন্যদিকে এলাকার উন্নয়নের কাজে সমস্যা হচ্ছে অভিযোগে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাসকদলের কাউন্সিলরদেরই ক্ষোভ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিস্তারিত দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতে চলেছেন তাঁরা। যদিও বিরোধী ও দলীয় কাউন্সিলরদের সমস্ত ক্ষোভ উড়িয়ে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের দাবি, নানা কারণে বোর্ড মিটিং হয়নি, দ্রুত বোর্ড মিটিংয়ের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। শহর জুড়ে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, প্রাত্যহিক কাজেও কোনও বিঘ্ন আসেনি। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের পরেও ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছে না দলের অন্দরেই, ফলে ইংলিশবাজার নিয়ে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে শাসকদলে। আপনার মতামত জানান -