ট্রাক দিয়ে টোলপ্লাজায় আটকানোর চেষ্টা, সঙ্গে কটূক্তি! তৃণমূল কর্মীদের ফেলে পেটালো বিজেপি? তৃণমূল বর্ধমান বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল দিনভর বাংলার রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযান ঘিরে। রাজ্য প্রশাসনের সদরদপ্তরে অভিযান চালিয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলার যে কৌশল করেছিল বিজেপি, তা অবশ্য সফল হয়নি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কলকাতা মহানগরীতে অভিযান ঘিরেই দেখা গেছে দক্ষযজ্ঞ অবস্থা। দিনের শেষে অবশ্য বিজেপির দাবি, শুধু কলকাতা বা হাওড়াতেই নয়, বিভিন্ন দিক থেকে অভিযানে যোগ দেবার জন্য যেসব কর্মীরা আসছিলেন তাঁদের ওপরেও হামলা চালানো হয় এবং এই হামলার জন্য তাঁরা তৃণমুলকেই দায়ী করেছে। কিন্তু ঘটনা অন্য কথা বলছে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পালসিট টোলপ্লাজায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা টোলপ্লাজার কর্মীদের মারধর করেছে, এমনকি ছবি তুলতে গেলে চিত্র সাংবাদিকদের ওপরেও হামলা চালায়। ঘটনা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছালে মেমোরি থানার পুলিশ গিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একটি বাস এবং একটি যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি আটক করা হয়েছে। টোল প্লাজার আহত এক কর্মী প্রেমাংশু সাউয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীরা মারধোর করার পর পাল্টা অভিযোগ তুলেছে, লাঠি বাঁশ যোগে তাঁদেরকে মারধর করেছে টোলপ্লাজার কর্মীরা। বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে, নবান্ন অভিযানে পশ্চিম বর্ধমান থেকে যখন কর্মীরা আসছিলেন তখন গাড়িগুলি যাতে সহজে রাস্তা পেরোতে না পারে তার জন্য তৃণমূল প্রভাবিত টোলপ্লাজার কর্মীরা লেনের ওপর একটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে দেয়। এ প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি জেলা সম্পাদক কেশব পোদ্দার অভিযোগ করেন বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলী চক্রান্তের। একই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার আহ্বায়ক অভিজিত ভট্টাচার্যেরও। অন্যদিকে পালশিট টোলপ্লাজ়ার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লেনগুলিতে এখন নতুন যন্ত্র বসেছে। আর সে কারণেই মাঝেমধ্যে লেন বন্ধ রাখা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সকালে নবান্ন অভিযানে যাওয়ার সময় ট্রাক আটকানো নিয়ে ঝামেলা শুরু হলেও অভিযানে যাওয়ার তাড়ায় ঝামেলা ওখানেই বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু দুপুরবেলা যখন বিজেপির গাড়িগুলি ফিরতে থাকে, তখনই শুরু হয় নতুন করে গোলমাল। যেমন- জামালপুরের জৌগ্রামে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করার চেষ্টা চালায় বিজেপি। কিন্তু বর্ধমান দক্ষিণের এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে মেমারি এবং জামালপুর থানার পুলিশ মোতায়েন হওয়ায় কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই অবরোধ উঠে যায়। এরপরে বিজেপির অভিযোগ, টোল প্লাজা দিয়ে যখন বিজেপি সমর্থকদের গাড়িগুলি বের হচ্ছিল, তখন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা তাঁদের দেখে কটুক্তি করে। তখনই বিজেপি কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে টোলপ্লাজার কর্মীদের উপর। ছবি তুলতে গিয়ে এক সংবাদপত্রের চিত্রসাংবাদিক রীতিমতো জখম হন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে টোলপ্লাজার কর্মী প্রেমাংশু সাউ অভিযোগ করেছেন, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিজেপি কর্মীদের বাসটি আটকে যায়, তারপর বাস থেকে লোকজন নেমে জিজ্ঞাসাবাদের সাথে সাথেই প্রবল মারধর শুরু করে দেয়। অবশ্য স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিজেপি কর্মীদের মারধর শুরু হতেই পাল্টা তৃণমূলের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাস এবং গাড়ি ফেলে বিজেপির লোকজন পালিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, এ রাজ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে তাঁরা। এর জবাব মানুষই দেবে। অন্যদিকে, বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই ঘটনাযইয়ের,এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, নবান্ন অভিযান অসফল হওয়াতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন বিজেপি কর্মীরা, সে জায়গা থেকেই টোলপ্লাজায় বিজেপি কর্মীদের দ্বারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -