এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ট্রাম্পের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্ব সমেত ভারতীয়রাও, জেনে নিন

ট্রাম্পের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্ব সমেত ভারতীয়রাও, জেনে নিন


বিশ্বজুড়ে এখন করোনার ভয়াবহতা চলছে। করোনা থেকে বাঁচতে প্রতিটি দেশ নিজের মত করে লড়াই চালাচ্ছে। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন, কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে দেশকে সচল রাখা যায়। অনেকেরই আশঙ্কা, এই লকডাউনের সময় অনেক মানুষের চাকরী চলে যেতে পারে। কি করে এই পরিস্থিতি থেকে বেরনো যাবে, তা কেউ জানেন না। তাই এমতাবস্থায় মহান মার্কিনদের চাকরিতে যাতে কেউ ভাগ না বসায়, তার জন্য কিছু দিনের জন্য অন্য দেশের কাউকে আমেরিকার মাটিতে পা রাখতে দিতে চাইছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে একটি টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যেখানে তিনি লেখেন, “অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ের সময় মহান মার্কিন নাগরিকদের চাকরি সুরক্ষিত রাখা জরুরী। সেই লক্ষ্যে আপাতত আমেরিকায় অভিভাষণ বন্ধ করার জন্য সরকারের নির্দেশে আমি সই করতে চলেছি।” অনেকে বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সেই দেশের মানুষদের অনেকটা স্বস্তি দেবে। কেননা লকডাউনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রতিটা দেশের প্রচুর মানুষের চাকরি যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নিজের দেশকে এই আশঙ্কা থেকে বাঁচাতে অন্য দেশের কেউ যাতে আমেরিকায় না আসেন, তাই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরেই মার্কিন মুলুকে কাজ করা অনাবাসী ভারতীয়দের অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এদেশের কর্মীরা এখন আশঙ্কায় দিন গুনছেন, তাহলে কি তাদের চাকরি এবার চলে যেতে চলেছে! এদিন এই প্রসঙ্গে মার্কিন মুলুকের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা নিযুক্ত এক কর্মী বলেন, “প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের খুঁটিনাটি না জানা পর্যন্ত ঠিক কাদের তা আঘাত করবে বলা শক্ত। শুধু কি নতুন অভিবাসনে ছেদ পড়বে, নাকি কোপ পড়বে পুরনোদের উপরে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।”

তবে অনেকেরই মতে, নিজের দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য। এক্ষেত্রে হয়ত বা অন্যান্য দেশের যে সমস্ত নাগরিকরা সেই দেশে চাকরি করতেন, তাদের চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। কিন্তু নিজের দেশকে বাঁচাতে প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রনায়কদেরই এখন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!