এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ট্রাম্পের হয়ে কথা বলেননি তাই কঠিন শাস্তির মুখে শীর্ষ এক নির্বাচনী কর্মকর্তা, জেনে নিন বিস্তারিত!

ট্রাম্পের হয়ে কথা বলেননি তাই কঠিন শাস্তির মুখে শীর্ষ এক নির্বাচনী কর্মকর্তা, জেনে নিন বিস্তারিত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সারা বিশ্বের নজর টিকে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপর। হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পরাজয়ের চিত্রটি স্পষ্ট হয়। এবং জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে চলেছেন জো বাইডেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেনে নিতে পারেননি তাঁর নিজের হার। ইতিমধ্যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এখানেই থামেননি তিনি। এই নির্বাচনে যারা তাঁর হয়ে কথা বলেননি বা এখনো বলছেননা- তাঁদের প্রত্যেককে এবার শেষ দু মাসে একের পর এক প্রেসিডেন্টের শাস্তির কোপে পড়তে হচ্ছে।

সে রকমই একজন হলেন ক্রিস ক্রেবস। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনে কারচুপির মন্তব্যকে খারিজ করে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার কারণেই এবার মার্কিন প্রদেশের শীর্ষ এক নির্বাচনী কর্মকর্তা শস্তির মুখে বরখাস্ত হলেন। ট্রাম্পের হয়ে কথা না বলার কারণেই এই কঠিন শাস্তি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনে হেরে গেলেও এখনো দুমাস নিজের কার্যকাল পূরণ করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আগামী 20 শে জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বিজয়ী জো বাইডেন। কিন্তু শেষ দু মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়ে উঠেছেন স্বেচ্ছাচারিতার অনন্য নজির বলে জানা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন নিজের ইচ্ছামত নির্দেশ জারি করছেন।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ভুল মন্তব্য করায় সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি সিসা প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন। ইতিমধ্যেই মার্কিন সংবাদ সংস্থা বিবিসি, রয়টার্স এবং আলজাজিরার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপকভাবে হেরেছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই পরাজয় তিনি কোনমতেই মানতে চাইছেন না। পরাজয় না মেনে তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এই নির্বাচনে নাকি ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে মার্কিন নির্বাচনী কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন হিসেবে এগিয়ে রয়েছে। আর এই কথা বলার জন্যই রিপাবলিকানদের কাছে রীতিমতো চক্ষুশূল হয়েছিলেন ক্রিস ক্রেবস। আর তাই ট্রাম্পের শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাঁকে। তবে বরখাস্ত হওয়ার পরে ক্রেবস ইতিমধ্যেই টুইটে ট্রাম্পের অভিযোগ খন্ডন করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, মার্কিন প্রদেশে নির্বাচনী পদ্ধতিতে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এবং তা নির্বাচনী আধিকারিকরা কোনভাবেই মেনে নিচ্ছেন না। তার কারণ প্রযুক্তির কারণে এবারের নির্বাচন হয়েছে স্বচ্ছ। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেইবলেই ধরা হচ্ছে।

সবমিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ দু মাসে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পদ টিকিয়ে রাখার। আর সেক্ষেত্রে তিনি একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন যা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাঁকে নিয়ে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁকে নিয়ে চলছে একের পর এক কটাক্ষ। সবকিছু জেনেও কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু তাঁর হার এখনো স্বীকার করেননি। বরং তাঁর পরাজয়ের কথা যারা বলছেন, তাঁদেরকে এবার এক এক করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!