এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তুলকালাম কাণ্ড! হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার নামে সুপারি দেওয়ার অভিযোগ আরেক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার

তুলকালাম কাণ্ড! হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার নামে সুপারি দেওয়ার অভিযোগ আরেক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আরো একবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল তৃণমূল দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ক্যানিং অঞ্চলে বরাবরই তৃণমূলের যুব ও মাদার শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সংবাদ শিরোনামে দেখা গিয়েছে। যদিও তৃণমূল নেত্রী একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বারংবার দলের কাছে আবেদন রেখেছেন, যেকোনো রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করার। কিন্তু তাতে যে কাজ হয়নি কিছুই, তা ক্যানিংয়ের ইটখোলার ঘটনায় পরিষ্কার। শোনা যাচ্ছে, এবার দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে অন্য আরেকজন নেতা খুনের জন্য লোক লাগিয়েছেন।

আর এই ঘটনাই চাঞ্চল্য জাগিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি ক্যানিংয়ের উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এলাকার তৃণমূল নেতাকে হত্যার সুপারি দিয়েছিলেন কয়েকজন দুষ্কৃতিকে। জানা গেছে, শনিবার রাত দুটো নাগাদ দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং এর ইটখোলার তৃণমূলের যুব সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সর্দার এর ওপর হামলা করতে মারণাস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুলাল মন্ডল ও পার্বতী কয়াল নামে দুই ব্যক্তি। যদিও ঘটনাটি গ্রামবাসীদের চোখে পড়তেই ধরা পড়ে যায় দুই দুষ্কৃতী।

এরপর তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের জেরার মুখে দুই অভিযুক্ত ইটখোলার উপপ্রধান খতিব সর্দারের নাম করে এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে। অন্যদিকে এলাকার উপপ্রধানের নাম অপরাধী হিসেবে সামনে আসতেই এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। স্থানীয় গ্রামবাসীরা রীতিমতন ক্ষোভ প্রকাশ করে উপ-প্রধানের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ইন্দ্রজিৎ সর্দার এর ওপর হামলার ঘটনায় এলাকার উপপ্রধান খতিব সর্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই ঘটনার পেছনে তাঁর দায় পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাল্টা তিনি বিজেপির ওপরেই এই ঘটনার দায়ভার চাপিয়েছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের নাম করে এলাকার বিজেপি কর্মীরাই এ ধরনের দুষ্কর্ম করে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের জেরা করে তদন্ত করা হবে এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ উপপ্রধান খতিব সর্দারের কোন যোগাযোগ আছে কিনা! অন্যদিকে একই দলের এক নেতা অপরজনের বিরুদ্ধে হত্যার চক্রান্ত করায় রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন সকলে। এই ঘটনা সামনে আশায় দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরে যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এমনকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাত ধরে হত্যার চক্রান্ত সামনে আসছে, তা এবার শাসক শিবিরকে রীতিমত অস্বস্তির মুখে ফেলেছে। এই পরিস্থিতি যদি সামলানো না যায়, তাহলে আগামী দিনে তৃণমূল শিবিরকে যথেষ্ট বিপর্যয়ের মুখে যে পড়তে হবে সে কথা এককথায় মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। অন্যদিকে এই ঘটনার রেশ ধরে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এবার কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!