এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তুরুপের তাস এখন শুধুই শুভেন্দু, যার দিকে পাল্লা ভারী ক্ষমতা তার? জল্পনা তুঙ্গে!

তুরুপের তাস এখন শুধুই শুভেন্দু, যার দিকে পাল্লা ভারী ক্ষমতা তার? জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অনেকে বলেন, তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেও তৃণমূলে যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ব্যক্তি রয়েছে, তা শুভেন্দু অধিকারীর আচার-আচরণেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দলের সঙ্গে ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হয়েছে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীর।

বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতিতে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি। আর সেই সভা-সমিতিতে ভিড় উপচে পড়তে দেখা গেছে। বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করতে পারেন। তার সঙ্গে ছিন্ন হয়ে যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেতারা যখন দাবি করেন যে, তাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারও কোনো মূল্য নেই, তখন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের চিহ্ন বাদে সেই শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্যকে কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলেই দাবি বিশ্লেষকদের।

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী দেখিয়ে দিয়েছেন, তার সমর্থনে ঠিক কতটা আওয়াজ উঠতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরে দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপন করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, তিনিও তৃণমূলের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করে রেখেছেন। তাই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতির মধ্যে দিয়ে নিজের ক্ষমতা কার্যত দেখিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।

বলা বাহুল্য, তৃণমূলের আড়ালে-আবডালে কান পাতলেই শোনা যায় যে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর যদি তৃণমূল কংগ্রেসে কারও জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারীকে দলের শীর্ষস্তরে একটা ভালো জায়গা না দেওয়াতেই তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপন করতে শুরু করেছেন। অরাজনৈতিক সভায় বেশকিছু ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে তাকে। যা রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীর আচার-আচরণ নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে রয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দাপট থাকলেও, শুভেন্দুবাবুর ছবি দিয়ে “দাদার অনুগামী” লিখে তৃণমূলের অনেকেই শুভেন্দুবাবুর প্রচার করছেন বলে দাবি একাংশের।যার ফলে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে যাই বলুন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীর যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং তিনি যে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন, তা কিছুদিন ধরে তার দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরিতেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক দেখে ইতিমধ্যেই শুভেন্দুবাবুর মান ভাঙানোর জন্য দলের এক সাংসদ তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে খবর। তবে তার মান ভাঙাতে সেই সাংসদ উদ্যোগ নিলেও তাকে পরিষ্কার ভাষায় নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে তার কাজ করতে কোনো অসুবিধা না থাকলেও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর যেভাবে দল চালাচ্ছেন, তা তার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে এখন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ঘুম উড়ে যেতে চলেছে। সেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর আপত্তির কারণে প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডানা আদৌ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ছাটবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

একাংশ বলছেন, এই ব্যাপারে যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। কেননা বেশি দেরি করলে শুভেন্দু অধিকারী বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর তিনি যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তা এযাবৎকালে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবথেকে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে তৃণমূলের পক্ষে পুনর্বার ক্ষমতা দখল করা সম্ভব হবে কিনা, তা যথেষ্ট সংশয়ের বিষয়। তাই এই পরিস্থিতিতে এখন বঙ্গ রাজনীতিকে কার্যত তুরুপের তাস হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!