এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জোট সরকার তৈরি হতে না হতেই তীব্র শরিকি দ্বন্দ্ব শুরু মহারাষ্ট্রে! জানুন বিস্তারিত

জোট সরকার তৈরি হতে না হতেই তীব্র শরিকি দ্বন্দ্ব শুরু মহারাষ্ট্রে! জানুন বিস্তারিত


ঢাকঢোল পিটিয়ে একপ্রকার ভারতীয় জনতা পার্টির সব আশা অভিলাষাতে জল ঢেলে মহারাষ্ট্র সরকার গঠন করে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি। মহা গঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিবসেনা প্রমুখ উদ্ধব ঠাকরে। তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল, সম্পূর্ণ ভিন্ন পথের দুইটি রাজনৈতিক মতাদর্শ কি করে একসঙ্গে সরকার চালাবে? কংগ্রেস এবং এনসিপির মতাদর্শগত মিল থাকলেও বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনার মূলভিত্তি মারাঠা এবং হিন্দুত্ব।

সেদিক থেকে কংগ্রেস মানসিকতার দলগুলির সঙ্গে কোনোভাবেই মিল খায় না শিবসেনার মতাদর্শের। কিন্তু এতসব অমিল থাকা সত্ত্বেও আজকের ইতিহাসে এটাই সত্যি যে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা নেতৃত্বাধীন এনসিপি এবং কংগ্রেস জোট সরকার চলছে। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি করে সরকারের শুরুর দিন যেতে না যেতেই মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই গত শনিবার আস্থা ভোটে জিতেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।

কিন্তু মন্ত্রিসভার দপ্তর ভাগাভাগি নিয়ে শরিক দলগুলোর মধ্যে মন কষাকষি চলছে বলে খবর। কে কোন দপ্তর পাবে, তা নিয়ে সর্বসম্মতি তৈরি হয়নি শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। তাতে আবার নতুন সমস্যা এনসিপির পরে উপমুখ্যমন্ত্রীর দাবি জানিয়েছে শরিক দল কংগ্রেসও। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পরেই নিজেদের তরফ থেকেও উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবী করে মোক্ষম সময় মোক্ষম দান চেলেছে কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহনের আগে অবধি দাবি ছিল এনসিপি থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হবে। আর স্পিকার হবে কংগ্রেস থেকে। কিন্তু পরবর্তীতে কংগ্রেসের দাবি করা হয়, উপমুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকার দুটো পদই তাদের চায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যে আপত্তির সুর শোনা গেছে এনসিপির তরফ থেকে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক স্তরে সমস্যাটি না মেটাতে, এখন শীর্ষ নেতৃত্ব এই জটিলতা সমাধানের চেষ্টা করছে।

তবে দ্বন্দ্ব শুধু উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়েই নয় – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক, সমবায় মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলি কোন ফর্মুলায় শরিক দলগুলোর মধ্যে ভাগ হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি মহাজোট সরকার। তবে এক্ষেত্রে জোটের একজন নেতার মতে, এই বিষয়ে আরও আলোচনার অবকাশ রয়েছে। কারণ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। জানা যাচ্ছে, গত 27 নভেম্বর কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনার মধ্যে দপ্তর বণ্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলে।

কিন্তু গতকাল কংগ্রেসের তরফ থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি করা হয়। আগে স্পিকার পদের দাবি করলেও বর্তমানে কংগ্রেসের মতে স্পিকার পদ না থাকলেও চলবে। তবে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ অবশ্যই দরকার কংগ্রেসের। কংগ্রেস নেতৃত্বের কথায়, জোট সরকারে কোনমতেই গুরুত্বহীন হয়ে থাকতে চায় না মহারাষ্ট্র কংগ্রেস। তাই যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী যেকোনো সরকারের মূল চালিকাশক্তি, তাই কংগ্রেসের যুক্তি মত মহারাষ্ট্রে এনসিপি’র তরফ থেকে একটি এবং কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি উপমুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে।

যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারেনি মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। শিবসেনা তরফ থেকে এই বিষয়ে তেমন বাধা না থাকলেও বেঁকে বসেছেন এনসিপি বলে খবর। তাই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দলের শীর্ষ নেতা শরদ পাওয়ারকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। কিন্তু নবনির্মিত মহারাষ্ট্র জোট সরকারের প্রথমদিকে যেরকম মন্ত্রিত্ব নিয়ে টানাটানি চোখে পড়ছে এবং যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একেবারে শীর্ষ নেতাদের মাঠে নামতে হচ্ছে, তাতে করে আগামী দিনে সরকার কতটা সাবলীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে! তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!