এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > টুইটারের সঙ্গে তুলনা, পিষে মারার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা!

টুইটারের সঙ্গে তুলনা, পিষে মারার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 213 টি আসন পেয়ে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ক্ষমতায় বসার পর থেকেই রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার, সব সময় রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল।

প্রতিমুহূর্তে সংবিধানকে লংঘন করার অভিযোগ তুলতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি টুইটারকে নিশানা করতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। যেখানে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে যেন টুইটার কোনো উপদেশ না দেয় সেই ব্যাপারে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই টুইটারের প্রতি যেভাবে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে, সেই একইভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চাপে ফেলতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পিষে মারার অভিযোগ তুলতে দেখা গেল তাকে।

স্বাভাবিক ভাবেই টুইটার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামতকে যেমন কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই বাংলার সরকারকে চাপে ফেলার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন তিনি। বস্তুত, সম্প্রতি টুইটারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। যেখানে বিধি মেনে না চললে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আর তা নিয়েই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে কড়া প্রতিক্রিয়া।

অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার গোটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ওরা ট্যুইটার কন্ট্রোল করতে পারে না, তাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। ওরা আমাকে কন্ট্রোল করতে পারে না, তাই আমার সরকার ও আমার দলকে বুলডোজ করতে চায়। ওরা কোনো সাংবাদিককে কন্ট্রোল করতে পারে না। তাই তাকে মেরে ফেলতে চায়। ওরা এইরকমই করে থাকে। কিন্তু এর একটা শেষ আছে। সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আমি এর ধিক্কার জানাই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ এতদিন বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর টুইটারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ধরনের প্রতিক্রিয়া সামনে আসতেই তাকে হাতিয়ার করে বিজেপি যে সব সময় এই রকম আচরণ করে থাকে, তা আরও একবার তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না আসতেই হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। যাকে হাতিয়ার করেই সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও এই গোটা ঘটনার ব্যাপারে উস্মা প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই দিল্লি সফরে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছেও এই ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ গিয়েছে। যার ফলে যেনতেন প্রকারেণ তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসক দল।

আর এই পরিস্থিতিতে টুইটারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার বিস্ফোরক হতেই তাকে হাতিয়ার করে বাংলার সরকারকে এভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!