এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > টুইটারের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ, তীব্র বিতর্ক জাতীয় রাজনীতিতে

টুইটারের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ, তীব্র বিতর্ক জাতীয় রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো প্রতিবাদ, যেকোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক সবই চলে সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে টুইটার অন্যতম। তবে এবার টুইটারকে পড়তে হলো সরকারি রোষানলে। সম্প্রতি জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বনাম কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে। আর তার মূল কারণ হচ্ছে টুলকিট বিতর্ক। এই টুলকিট নিয়েই একের পর এক পোস্ট দিয়েছেন বিজেপি নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু টুইটারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু টুইটকে ম্যানিপুলেটেড বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আর তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে এই কারণেই টুইটারকে পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, টুইটারের গুরুগ্রাম অফিসে এদিন ব্যাপক তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশের হাইপ্রোফাইল টিম। তীব্র চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে এই তল্লাশিকে ঘিরে। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই কিছু ভারতীয় রাজনীতিবিদদের কোভিড সংক্রান্ত টুইটকে ম্যানিপুলেটেড আখ্যা দিয়েছিল টুইটার। পাশাপাশি, বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের একটি পোস্টকেও ম্যানুপুলেটেড মিডিয়া বলে দাবি করেছিল টুইটার। আর তারপরে টুইটারকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয়। অন্যদিকে টুইটারে সম্বিত পাত্রের যে পোস্ট নিয়ে এত বিতর্ক দেখা গিয়েছে, সেই পোষ্টটি এই মুহূর্তে আর নেই। প্রশ্ন উঠেছে, সেই পোস্ট কে সরিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ নাকি সম্বিত পাত্র নিজেই?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, জাতীয় রাজনীতিতে বিগত কয়েক দিন ধরে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে টুলকিট সংক্রান্ত বিতর্ক চলছে। আর তার মাঝেই সম্বিত পাত্র টুইটারে পোস্ট করেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুলকিট পোস্ট করা হচ্ছে। এবং যে টুলকিট বিজেপির হাতে এসেছে বলে দাবি করেছেন সম্বিৎ পাত্র। পাশাপাশি সম্বিতের সঙ্গে গলা মেলান বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু কংগ্রেস এই দাবীর প্রতিবাদস্বরূপ বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি, জেপি নাড্ডাসহ সম্বিত পাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। কংগ্রেস দাবি করতে থাকে এই টুলকিট ভুয়ো।

পাশাপাশি টুইটারের পক্ষ থেকেও বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের পোস্টকে ম্যানিপুলেটেড বলে আখ্যা দেওয়া হয় এবং টুইটারে পোস্ট ফ্ল্যাগ করে। আর তারপরে টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে টুইটার অফিস তল্লাশি ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় টুইটারকে সরকারি রোষানলে পড়তে হয়েছে। তবে টুইটারের অফিসে তল্লাশি চালানোর কারণ সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!