এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীকে শোকজ করতে চলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, শোরগোল ঘাসফুল শিবিরের অন্দর!

দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীকে শোকজ করতে চলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, শোরগোল ঘাসফুল শিবিরের অন্দর!


দলে কোনোভাবেই আর বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের বার্তায় সমস্ত জেলা নেতাদের এই বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা দেওয়ার পরেই এবার কি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা নেত্রীকে শোকজ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? বস্তুত, সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন্য নতুন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে নয়া কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেন তিনি। এরপরই নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, তাহলে এতদিন অর্পিতা ঘোষের দক্ষিণ হস্ত এবং বামহস্ত বলে পরিচিত জেলার 2 কার্যকরী সভাপতি বালুরঘাটের দেবাশিস মজুমদার এবং হরিরামপুরের শুভাশিস পালের ভবিষ্যৎ কি হবে?

অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু গৌতম দাসকে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি করলেন, সেহেতু শুভাশিস পাল এবং দেবাশিস মজুমদারের ডানা ছাটা হল। তবে এই বিষয়টি জল্পনার পর্যায়ে থাকলেও, সম্প্রতি হরিরামপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের মধুমিতা রায়ের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শুভাশিস পাল ওরফে সোনা পালের বিরুদ্ধে। যারপরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

সোনা পালের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, মধুমিতা রায় তৃণমূলে থাকলেও তিনি বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রের ঘনিষ্ঠ। তাই বিপ্লব মিত্রের তৃণমূল ফেরার ব্যাপারে যে প্রচার চলছে, তাতে বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছেন সেই মধুমিতা রায়ের ছেলে। আর গোটা ঘটনা নিয়ে যখন জেলা তৃণমূল কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে, ঠিক তখনই খবর এল যে এবার হরিরামপুরের ঘটনায় দুজনকে শোকজ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, শুভাশিস পাল এবং মধুমিতা রায় এই দুইজনকেই এবার শোকজ করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “দলনেত্রী কার্যকরী সভাপতি হিসেবে আমাকে নিয়োগ করেছেন। জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ফিরলে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ওপর হামলা নিন্দনীয়। দল নজর রাখছে।” একইভাবে এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, “দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ওপর এই হামলা বরদাস্ত করা হবে না। যারাই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের তরফেও তদন্ত করে দেখা হবে।”

আর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর যেভাবে গৌতম দাস গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হলেন আরেক কার্যকরী সভাপতি শুভাশিস পালের বিরুদ্ধে, তাতে যদি সত্যি সত্যি শুভাশিস পালকে দল শোকজ করে, তাহলে অর্পিতা ঘোষের করা দুই কার্যকরী সভাপতির তেমন ভাবে কোনো গুরুত্বই থাকল না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকে বলছেন, অর্পিতা ঘোষ দায়িত্ব নেওয়ার পর বালুরঘাটের দেবাশিস মজুমদার এবং হরিরামপুরের সোনা পালকে নিজের সর্বক্ষণের সাথী বানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু দলের অনেক কর্মীরাই এই দুই নেতার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। এমনকি বালুরঘাটের মাটিতে দেবাশিস মজুমদারের জন্য সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে জেলায় দুই কার্যকরী সভাপতি থাকা সত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কারোরই নাম না নিয়ে জেলার নতুন কার্যকরী সভাপতি হিসেবে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসের নাম ঘোষণা করে দেন। আর তারপরেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গৌতম দাসের নাম ঘোষণা করায় দেবাশিস মজুমদার এবং সোনা পালের আর তেমন কোনো গুরুত্ব রইল না। আর এবার হরিরামপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় যেভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সোনা পালকে বরখাস্ত করার কথা শোনা যাচ্ছে, তাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়ে যেতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!