এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গোলাগুলি থামিয়ে এলাকায় শান্তি ফেরাতে দুই বিধায়কের বৈঠক ঘিরে তীব্র জল্পনা শাসকদলের অন্দরেই

গোলাগুলি থামিয়ে এলাকায় শান্তি ফেরাতে দুই বিধায়কের বৈঠক ঘিরে তীব্র জল্পনা শাসকদলের অন্দরেই

দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাস চলছে। কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর, ঘিরনিগাঁও ও দাসপাড়ায় শান্তি ফিরছে না কিছুতেই। মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই এলাকাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি উত্তপ্ত হতে দেখা গেছে লক্ষীপুরকে।

কিন্তু সেই সন্ত্রাস আর কতদিন! তাই এবার এলাকায় শান্তি ফেরাতে চোপড়ার তৃনমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান ইসলামপুরের বিধায়ক অবদুল করিম চৌধুরীর দ্বারস্থ হলেন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে হামিদুল সাহেব ইসলামপুরে করিম চৌধুরীর বাড়িতে আসেন। বস্তুত, অনেকদিদিন থেকে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। তাই এদিন হঠাৎই এই দুই নেতার সাক্ষাৎ হামিদুল রাজনৈতিক মহলে প্রবল গুঞ্জন তৈরি করল।

সূত্রের খবর, এদিন হামিদুল সাহেব ও করিম সাহেবের মধ্যে প্রায় একঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে। আর এই বৈঠক শেষে
চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, “হঠাৎ এসেছি এমন নয়, বিধানসভায় আমাদের কথাবার্তা হয়। এদিন এখানে এসেছিলাম। করিম সাহেব অভিভাবকের মতো, তিনি যদি লক্ষ্মীপুরে শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতা করেন তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে করিম সাহেব বলেন, “আমি এর আগেও লক্ষ্মীপুরে গিয়েছিলাম স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। এদিন হামিদুল আমার সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুরে শান্তি ফেরাতে আমি যা কিছু করব, তাতে আপত্তি তুলবে না। কয়েকদিন পরে লক্ষ্মীপুরে গিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলের প্রতিনিধি ও স্থানীয় বিধায়ক, বিডিও, থানার আইসি সকলকে নিয়েই আলোচনায় বসব। আলোচনার মধ্যদিয়েই শান্তির রাস্তা বের করব। এই পরিস্থিতির জন্য উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, “এলাকায় শান্তি ফেরানো বিধায়কের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু ১৬ মাস পর হামিদুলের মনে হল শান্তি ফেরাতে করিম সাহেবকে লাগবে। যে দিন শান্তি ফেরাতে আমাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তার পরের দিনই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের এক একজন করে কর্মীকে খুন করেছে। মঙ্গলবারও শান্তি ফেরাতে এসডিপিওর চেম্বারে বৈঠক করে ফিরছিলাম, সেসময় রাস্তায় আমাদের উপরে হামলা করা হল। এর ফলে সন্দেহ হচ্ছে শান্তি ফেরাতে প্রশাসন কতটা আন্তরিক? আমরাও চাই এলাকায় শান্তি। করিম সাহেব উদ্যোগ নিলে ভালো।”

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই চোপড়ার বিভিন্ন এলাকা রাজনৈতিক সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এখনও গুলির লড়াই, লুটপাট, মারধর হুমকি, চা বাগান দখল চলছে। আর এই গ্রাম দখল নিয়ে গন্ডগোলে যাতে আর কারও প্রাণ না যায় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে, তার জন্য তৃণমূলের এই দুই নেতার এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে আদৌ এই ব্যাপারে সমস্যার সমাধান হয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!