‘দুর্দান্ত’ কাজের পুরস্কার – বড়সড় পদোন্নতি ঘটতে চলেছে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার বিশেষ খবর রাজ্য May 21, 2018 পঞ্চায়েত ভোটে ফল হয়েছে ‘প্রত্যাশিত’, কয়েকটা জেলায় বিজেপিকে একটু-আধটু উঁকি-ঝুঁকি মারতে দেখা গেলেও মতের উপর বিরোধীদের খুঁজতে হচ্ছে চোখে দূরবীন লাগিয়ে। তার উপরে স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন অন্যদলের টিকিটে জিতলেও তৃণমূলের উন্নয়নে শামিল হতে চেয়ে তাঁর কাছে দরবার করা শুরু করে দিয়েছেন বিরোধী প্রার্থীরা, যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বিষয়টা পরে ভেবে দেখবেন। আর তাই সবমিলিয়ে বেশ ফুরফুরে পরিবেশ দলের মধ্যে। কিন্তু তার মাঝেই কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দল। কিন্তু এত সবকিছুর পরেও সামনের বছর লোকসভা নির্বাচনে আরো ভালো ফল করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় শাসকদল। দলীয় সূত্রের খবর, দলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের বিশ্বাস – বর্তমানে বঙ্গ-রাজনীতির যা অবস্থা তাতে আগামী লোকসভায় ৪২-০ করা খুব একটা কঠিন নয়। বিরোধীদের যেটুকু অস্তিত্ত্ব যেসব জেলায় ছিল, সেখানেও শাসকদলের সংগঠনের জেরে তারা বহু পিছিয়ে পড়েছে। আর দেশব্যাপী যে বিজেপি-বিরোধী হাওয়া এবং বিরোধীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে ২০১৯-এ একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেশ পেতেই পারে। কিন্তু ২০১৯ এর সেই কঠিন লড়াইয়ের আগে বড়সড় পুরস্কার মিলতে চলেছে দলের দুই হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর বলে সূত্রের খবর। অরূপ বিশ্বাস বর্তমানে দলের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজের’ হয়ে উঠেছেন, নীরবে একই সঙ্গে মন্ত্রীত্ত্ব ও দলীয় সংগঠন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন, আর তাই আসন্ন মন্ত্রীসভার রদবদলে তিনি আরো দুটি গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রক পরিবেশ ও আবাসন দফতর পেতে পারেন। অন্যদিকে, দলের তরুণ তুর্কি শুভেন্দু অধিকারী ফুল ফুটিয়েছেন তাঁর দায়িত্ত্বে থাকা সব জেলাতেই। মুর্শিদাবাদ থেকে কার্যত কংগ্রেসকে মুছে দিয়েছেন, ফলে তাঁকেও পরিবহনের পাশাপাশি পঞ্চায়েত দফতর দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বেশি করে সময় দিতে পারবেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে। সবমিলিয়ে, কাজের নিরিখে ‘পুরস্কার’ ও ‘তিরস্কারের’ মাধ্যমে বড়সড় রদবদল হতে চলেছে রাজ্য মন্ত্রীসভায় বলে জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -