এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়নের কথা বলা হলেও তা নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন, উদ্বিগ্ন পড়ুয়ারাও

উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়নের কথা বলা হলেও তা নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন, উদ্বিগ্ন পড়ুয়ারাও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছর থেকে করোনা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দেশের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। বাদ যায়নি এ রাজ্যও। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা গতবছর ভালোভাবে নেওয়া গেলেও কোনোরক্লমে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সেশ করা হয়। সেই অনুযায়ী পরীক্ষার ফলও প্রকাশ হয়। কিন্তু এবছর তো আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার মধ্যেই সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় মূলায়নের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হবে। কিন্তু সেই মূল্যায়ন নিয়েই উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন এবং প্রশ্ন তুলছেন পড়ুয়া, অবিভাবক ও শিক্ষকদের একাংশ।

সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মাধ্যমিকের সর্ব্বোচ্চ নম্বর পাওয়া চারটি বিষয় থেকে 40% এবং একাদশের বার্ষিক পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষায় 60% নাম্বার মিলিয়ে যা যোগ করে হবে তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার নাম্বার বলে গৃহীত হবে। এরসাথে যোগ হবে ল্যাব ও প্রাক্টিক্যালের নাম্বার। প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকে লিখিত এবং ল্যাবভিত্তিক বিষয়ে  আলাদাআলাদা করে যদি কেউ 30% নাম্বার পায় সেক্ষেত্রে তাকে পাশ বলে ধরে নেওয়া হয়। অর্থাৎ ল্যাবভিত্তিক পরীক্ষায় 70 এর মধ্যে 21 পেলেই পাশ। আ নন-ল্ল্যাব বিষয়ে 80 তে পেতে হয় 24। আর এই জায়গা থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শিক্ষকদের একাংশের মতে, যদি কোন মাধ্যমিক পরীখার্থীর সেরা চারটি বিষয়ে 25 পেয়ে নাম্বার হল 100, আবার সেই স্টুডেন্টের একাদশ শ্রেণীতে দেখা যাচ্ছে ল্যাবভিত্তিক পরীক্ষায় 21 এবং নন-ল্যাবভিত্তিক পরীক্ষায় 24 পেয়ে পাশ করেছে, তাহলে সংসদের নিয়মানুযায়ী পরীক্ষার্থীর মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাশের উপর উঠছে প্রশ্ন। দু’টি শিক্ষক সংগঠন কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস এবং অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির আবার আলাদা প্রশ্ন তুলেছেন। যারা গতবছর উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছে, তাঁদের মূল্যায়ন কিভাবে হবে?

একইসাথে কোও পরীক্ষার্থী যদি বিশেষ কারণে একদশ শ্রেণীর পরীক্ষা না দেয় তাহলে তাঁর কিসের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে? এক্ষেত্রে সংসদের কাছে পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবী জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি। আপাতত জটিলতা রয়েই যাচ্ছে মূল্যায়ন নিয়ে। সেক্ষেত্রে কিভাবে সমস্যার সমাধান হচ্ছে, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!