উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ! প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা সপরিবারে নার্সকে করলেন এলাকা ছাড়া? তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বকর্মা পূজায় উচ্চস্বরে মাইক বাজাচ্ছিল এলাকার উঠতি যুবকরা- যারা ওই এলাকারই কাউন্সিলরের অনুগামী বলে পরিচিত। ঘরের পাশে তারস্বরে মাইক ও বক্স বাজানোর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন এলাকারই এক স্বাস্থ্যকর্মী। এবং প্রতিবাদের ফল যথারীতি যা হয়, এবারেও তার অন্যথা হলোনা। ক্রমাগত হুমকির জেরে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে পরিবারসহ হতে হয়েছে এলাকাছাড়া। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পেছনে স্থানীয় কাউন্সিলরের পূর্ণ মদত রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনা রাজপুর সোনারপুর পৌরসভা 7 নম্বর ওয়ার্ডে। ঐ ওয়ার্ডেই বাস করেন এনআরএস হাসপাতালে কর্মরত নার্সিং স্টাফ মিঠু দাস। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তাঁর ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে অনলাইন ক্লাস করছিল। কিন্তু বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে তাঁর বাড়ির পাশের প্যান্ডেলে যেভাবে উচ্চঃস্বরে বক্স এবং মাইক বাজানো হচ্ছিল, তাতে অনলাইন ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে ওই নার্সিং স্টাফ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এর পরেই ওই মহিলার ওপর চড়াও হয়ে পূজোর প্যান্ডেলে থাকা যুবকেরা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাঁরা। এরপরেই প্রতিবাদী মহিলা মিঠু দাস নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ গত 19 তারিখে অভিযুক্ত যুবকদের এসে সাবধান করে যায়। কিন্তু তাতে ফল আরো মারাত্মক হয়েছে। কুড়ি তারিখ রবিবার সন্ধ্যে ছটা নাগাদ ওই যুবকেরা স্থানীয় কাউন্সিলর রঞ্জিৎ মন্ডলকে সাথে নিয়ে নার্সিং স্টাফ মিঠু দাসের বাড়িতে হাজির হয়। কাউন্সিলের সামনেই তাঁকে আবার অকথ্য গালিগালাজ করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এমনকি কাউন্সিলর নিজে ওই প্রতিবাদী মহিলাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনা আবারও থানায় জা্নালে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।এই ঘটনায় আতংকিত মিঠু দেবী এবং তাঁর পরিবার বর্তমানে ঘরছাড়া হয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তিনি তাঁর স্বামী এবং সন্তানদের নিয়ে নার্সিং কোয়ার্টারেই থাকবেন হাসপাতালে। অন্যদিকে এলাকার কাউন্সিলর দাবি করেছেন এটি পুরোপুরি তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। তিনি এধরনের কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। অন্যদিকে শাসকদলের অনুগামীদের এলাকার নেতার ছত্রছায়ায় থাকার ফলে এ ধরণের উশৃংখলতার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। কিন্তু তা সত্বেও দল বা প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না বলে অভিযোগ অনেকেরই। তবে একজন করোনা যোদ্ধাকে এইভাবে হেনস্থার ঘটনা সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই বিস্মিত সবাই। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -