এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের ‘উদাহরণ’ দেখিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধোনা মুকুলের? বাড়ছে দ্বন্দ্ব?

তৃণমূলের ‘উদাহরণ’ দেখিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধোনা মুকুলের? বাড়ছে দ্বন্দ্ব?

কলকাতা পুরভোট আপাতত পাখির চোখ বিজেপির। তুলায় তলায় এই ভোটযুদ্ধে নামার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে দলের অন্দরে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক জমি অনেকটাই শক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিজেপি। এবার সেই মাটি আঁকড়ে থাকার লড়াই। সবার আগে বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত ভোটারদের ব্যাখ্যা দেওয়া চলছে, বিজেপির কাছে কলকাতা পুরভোটের গুরুত্ব অপরিসীম। সেই জন্য দলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাকে পুরভোটে চেষ্টা চলছে প্রার্থী করার। কিন্তু এই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপির অন্দরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

রাজ্য বিজেপির একাংশ চাইছে, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে টলিগঞ্জের সেলিব্রিটিদের প্রার্থী করতে। অন্যদিকে, মুকুল রায়ের মতে, পুরসভা নির্বাচনে যদি পরিচিত লোকদের প্রার্থী করা হয়, তাহলে ভোটাররা ভরসা পাবেন। আপাতত রাজ্য বিজেপির অন্দরে পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে কার্যত যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিজেপি দলের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের আগে বহু টালিগঞ্জের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন অঞ্জনা বসু, পার্নো মিত্র, বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম হালদার (লামা), মৌমিতা গুপ্ত, কাঞ্চনা মৈত্র, রূপাঞ্জনা মিত্র, ঋষি কৌশিক প্রমুখরা।

তাই সেই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এবার পুরনির্বাচনের প্রাক্কালে প্রার্থী করতে ইচ্ছুক বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সূত্রের খবর, 144 টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত 15 টি ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হতে পারে সেলিব্রিটিদের। সেলিব্রিটি প্রার্থী এবং পরিচিত মুখের দ্বন্দ্বে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ উদাহরণ হিসেবে এনেছেন তৃণমূল দলের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা। দেখা গেছে, লোকসভা নির্বাচনে দেব, মিমি, নুসরত প্রার্থী হয়েছিলেন এবং তাঁরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও লোকসভা নির্বাচনে হুগলি আসন থেকে সেলিব্রিটি মুখ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দাঁড় করানো হয়েছিল এবং তিনিও জিতে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির মুকুলপন্থীরা জানাচ্ছেন, লোকসভা নির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচনের মধ্যে বিস্তর ফারাক। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ জনগণ প্রার্থীদের কাজ দেখে। সেখানে সেলিব্রেটিরা কিভাবে সাধারণ মানুষের মন জয় করবেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে, সূত্রের খবর মুকুল রায় পুরসভা নির্বাচনে পরিচিত মুখ দাঁড় করাবার তত্ত্বে উদাহরণ হিসেবে এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের 2011 ফর্মুলা। উল্লেখ্য, সেসময় তৃণমূলে উল্লেখযোগ্য জায়গায় ছিলেন আজকের মুকুল রায়। মুকুল রায় জানিয়েছেন, সেসময় ভোটে প্রার্থী করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতন হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বদের এবং নতুন মুখের থেকে সাধারণ জনগন পরিচিত মুখকেই জয়যুক্ত করেছিল।

কলকাতাসহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় এবছর এপ্রিল মাসে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে এই পুরসভাগুলির ভোট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলির কাছে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একদিকে যেখানে গত লোকসভা ভোটের স্মৃতি ভুলতে তৃণমূলের লক্ষ্য, রাজ্যের পুরসভাগুলি ধরে রাখা। অন্যদিকে, বিজেপির লক্ষ্য বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোটকে সেমিফাইনাল হিসেবে ধরে নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই জেতা। বিজেপি সূত্রে খব, পুরসভা ভোটে কলকাতাতে তৃণ্মূলকে ধাক্কা দিতে পারলে তার প্রভাব পড়বে রাজ্যব্যাপী। আপাতত পরিস্থিতি কি হতে চলেছে, সেদিকে নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!