এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘উনি কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শেখানো কথা বলছেন! এত হাল্কা কথা বলছেন কেন?’ বিস্ফোরক জিতেন্দ্র

‘উনি কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শেখানো কথা বলছেন! এত হাল্কা কথা বলছেন কেন?’ বিস্ফোরক জিতেন্দ্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত 10 বছরের তৃণমূলের রাজত্বে এই প্রথমবার এতটা ভাঙা-গড়ার সম্মুখীন হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। একুশের বিধানসভা নির্বাচন বাংলার দরজায় কড়া নাড়ছে। আর ঠিক সেই সময় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে তৃণমূল। একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের গলায় দলের প্রতি ক্ষোভের প্রকাশ স্পষ্ট। এই দলে এবার যোগ হয়েছেন আসানসোলের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এতদিন পর্যন্ত জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে কিন্তু দলের হয়েই গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে। হঠাৎ করেই তিনি গতকাল থেকে বেসুরো গাইছেন। আসানসোল প্রতি পদক্ষেপে যে বঞ্চনার শিকার হয়েছে, সে কথা নিয়ে তিনি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লেখেন।

সেই চিঠি অবশ্য প্রকাশ হয়ে পড়ে সর্বসমক্ষে। আর তারপরেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বাড়ে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জিতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্দেশ্যে গতকাল বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করেই জিতেন্দ্র এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। আর এবার পাল্টা জিতেন্দ্র সরাসরি ফিরহাদ হাকিমকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শেখানো কথা বলছেন বলে কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি তিনি ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন রেখেছেন, এত হালকা কথা ফিরহাদ হাকিম কেন বলছেন? তবে রাজনৈতিক মহলের অলিতে-গলিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা।

এত বছর ধরে জিতেন্দ্র তিওয়ারির পক্ষে কিন্তু ববি হাকিমের মতন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে উল্লেখ করে এ ধরনের কথা বলার কোন ক্ষমতা ছিলনা। তাহলে হঠাৎ কি এমন হলো? প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার তাঁকে ক্যামাক স্ট্রীট এর অফিসে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ববি হাকিম, প্রশান্ত কিশোরের থাকার কথা ছিল এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছিলেন যে তিনি নিশ্চিত যাবেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাঁর মত বদলেছে। মঙ্গলবার সকালে তিনি বলেছেন, যা বলার তিনি শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বলবেন। মিটিং এর ব্যাপার নিয়ে তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তিনি এখনো ভাবছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারটা গতকাল রাতেই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং তিনি তখনই মন্তব্য করেছিলেন, মঙ্গলবারের কোন মিটিং নেই। কারণ জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পুরমন্ত্রী বার বার ফোন করা সত্বেও ফোন তোলেননি তিনি বলে জানা গেছে। তাই মিটিং কিভাবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে এক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি বর্তমানে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরকে কোনরকম গুরুত্ব দিতে তিনি নারাজ। আর এই একই চিন্তা ধারা তৃণমূলের বহু নেতা মন্ত্রীর মধ্যে পাওয়া গিয়েছে।

তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে আসানসোলের সাতটি বিধানসভাই বিজেপি জিতে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক আশঙ্কা করছেন হয়তো তিনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিততে পারবেন না। এছাড়াও কয়লা এলাকার আলাদা সমীকরণ কাজ করতে পারে এই ঘটনার নেপথ্যে। সব মিলিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি যেভাবে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মন্তব্য করেছেন তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি জিতেন্দ্র তিওয়ারি যে মন্তব্য করেছেন তা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের নেতা বাবুলের গলাতেও শোনা গেছে।

তৃনমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চনার শিকার হয়েছে আসানসোল। পাশাপাশি রাজ্যের তরফ থেকেও আসানসোলের জন্য কিছু করা হয়নি। রাজ্য রাজনীতিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কে নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন উত্তরবঙ্গে। সেখানেও বিদ্রোহের আঁচ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির ভোল বদলের তৃণমূলের অনেকেই বিজেপির ছায়া দেখছেন। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসলে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বসে পুরো ব্যাপার মিটমাট হয় কিনা সে দিকেই এখন নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!