এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঊনিশের প্রতিফলন কি একুশে? তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় অন্য দাবি

ঊনিশের প্রতিফলন কি একুশে? তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় অন্য দাবি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উনিশ এর লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু গেরুয়া শিবির 18 টি আসন দখল করে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় পৌঁছে যায়। যার ওপর নির্ভর করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন আনার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তাঁরা। অন্যদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিন্তু একটি বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়। যেসব জেলায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে এতদিন মনে করা হয়েছিল, সেই সব জেলাগুলি থেকে তৃণমূলকে সরে দাঁড়াতে হয় এবং ঊনিশে যেসব জেলাগুলিতে তৃণমূল ধাক্কা খেয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো নদিয়া জেলা। নদীয়া জেলার দুটি লোকসভা আসনের একটি বিজেপি দখল করেছিল।

কোনক্রমে কৃষ্ণনগর আসনটি ধরে রাখতে পেরেছিল তৃণমূল। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের যে অংশটি নদীয়ার মধ্যে পড়ে, সেখানেও বড় ব্যবধানে জিতে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে শাসক দল দাবি করতে শুরু করেছে, বিধানসভা নির্বাচনের খাতিরে কিন্তু নদীয়া জেলার ছবি পরিবর্তন হয়েছে। রানাঘাট, শান্তিপুর, কল্যাণী ও চাকদা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ধীরে ধীরে জমি ফেরত পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, 2011 সালের নদীয়া জেলার 14 টি আসন দখল করেছিল তৃণমূল। 2016 সালে বাম কংগ্রেস জোট তৃণমূলকে আটকাতে পারেনি। সে সময় শাসক দলের দখলে গিয়েছিল 13 টি আসন।

কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে আসে বড়সড় ধাক্কা। জেলার 17 টি আসনের মধ্যে 11 টিতেই এগিয়ে যায় গেরুয়া শিবির এবং দেখা যায় নদীয়া জেলার যেসব অঞ্চলে মতুয়াদের প্রভাব বেশি, সেখানেই বিজেপির জয়ের ব্যবধান বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভালো ফলের কারণ কিন্তু মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক। দেখা গিয়েছে, এরাজ্যের মতুয়া অধ্যুষিত ত্রিশটি বিধানসভায় বেশির ভাগটাতেই এগিয়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির এবং এই মতুয়া অধুষিত অঞ্চলের একটি বড় অংশ পড়ে নদীয়া জেলায়, যারা 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে ঢেলে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এবার ছবিটি পাল্টেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একুশের বিধানসভা নির্বাচন আসতে চলল। লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের জন্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের যে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল তা কিন্তু এখনও পর্যন্ত পায়নি তাঁরা। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সামনে রেখে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এ রাজ্যের নাগরিক। খুব স্বাভাবিকভাবেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচন জিতলেও বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিন্তু স্থানীয় উন্নয়ন বড় জায়গা করে নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূল শিবিরের একাংশ মেনে নিচ্ছেন, লোকসভায় নদীয়া জেলার খারাপ ফলের অন্যতম কারণ ছিল স্থানীয় নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

সেক্ষেত্রে কৃষ্ণনগরের সংসদ মহুয়া মৈত্রকে জেলার দায়িত্ব দেওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই সামলানো গিয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে শাসকদলের অন্দরে। তাই সার্বিকভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নদীয়া জেলা ফিরে পাবার আশায় দিন গুনছে রাজ্যের শাসক দল। তবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল শিবিরে কিন্তু এখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমেনি বরং উত্তরোত্তর তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতারা বিরোধিতা করে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রীতিমতো কোণঠাসা এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ সমীক্ষার দাবিকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো টানটান উত্তেজনা এই মুহূর্তে বাংলার মাটিতে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!