এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আনলক পর্বে সবার শীর্ষে বাংলাই! জানিয়ে দিল খোদ গুগল! জেনে নিন মুখ্যমন্ত্রী মমতার নয়া নজির

আনলক পর্বে সবার শীর্ষে বাংলাই! জানিয়ে দিল খোদ গুগল! জেনে নিন মুখ্যমন্ত্রী মমতার নয়া নজির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের কারণে গত মার্চ মাসের শেষদিকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি চলছে যার আনলক পর্ব। এই আনলক বা নিউ নর্মাল পর্বের উদ্দেশ্যই হলো জীবন-জীবিকাকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা। আর জীবন-জীবিকাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি গুগলের একটি সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

সম্প্রতি এ দেশের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে গুগলের পক্ষ থেকে এক সমীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। যে কয়েকটি রাজ্যের আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির অবস্থা সন্তোষজনক, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভালো, এরকম ১২ টি রাজ্যকে এই সমীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল। এই সমীক্ষায় প্রথম ৬ টি রাজ্যের তালিকাতে পশ্চিমবঙ্গের নাম উঠে এসেছে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই সমীক্ষা চালিয়ে ছিল গুগল।

প্রথমত যে বিষয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তা হল ওয়ার্কফোর্স মোবিলিটি। করোনা সংক্রমণ কালে অফিস কাছারি, অন্যান্য কর্মক্ষেত্র গুলি স্বাভাবিকভাবে খোলা হচ্ছে কিনা? কর্মীরা সেখানে উপস্থিত থাকছেন কিনা? সময় মত তাঁরা কাজ করছেন কিনা? সবকিছু নিয়েই এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে দেখা গেল দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সবচেয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা করা হয়েছিল।

এই সমীক্ষাতে দেখা গেল যে, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এবছর ওয়ার্কফোর্স মোবিলিটি পশ্চিমবঙ্গে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তামিলনাড়ুতে যা ২.৩ শতাংশ, দিল্লিতে যা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যান্য স্থানে তা ঋনাত্বক অবস্থায় চলে গেছে। মাঝারি অর্থনীতির রাজ্য গুলিতে গতবছরের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার মাইনাস ৫.২ শতাংশে চলে গেছে। ছোট অর্থনীতির রাজ্যগুলিতে চলে গেছে মাইনাস ৯.৭ শতাংশে। দেশের সার্বিক ওয়ার্কফোর্স মোবিলিটির হার হলো মাইনাস ২.১ শতাংশ। শিল্পোন্নত মহারাষ্ট্রতে যা মাইনাস ১ শতাংশ ও গুজরাটে যা মাইনাস ১.৫ শতাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গুগলের তরফ থেকে করা এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, জিএসটি আদায়ের পরিমাণ সেপ্টেম্বর মাসে ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৯ শতাংশ। নতুন গাড়ি কেনা প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৪ শতাংশ। কিন্তু জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ঋনাত্বক অবস্থায় পৌঁছে গেছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে। আবার, নতুন গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পেছনে পড়ে গেছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাত, রাজস্থান, কেরল ও দিল্লি। এক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর পরেই পশ্চিমবঙ্গর স্থান। আবার বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণও অনেকটা বেড়েছে এ রাজ্যে।

আবার অনলাইন প্রপার্টি কেনাবেচার এক সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, অফিস বা বসবাসের জন্য নেওয়া বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা ও শহরতলির মোট ৪৫টি এলাকার বাড়িভাড়ার বাজারদর দেখে জানানো হয়েছে যে, বাড়ি ভাড়ার চাহিদা ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এলাকাগুলিতে। ফলে বাড়ি ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া বাড়েনি, কোথাও কমেও গেছে। তবে মুম্বাইতে বাড়ি ভাড়ার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ শতাংশ, চেন্নাইতে ২৫ শতাংশ। সর্বাধিক দিল্লিতে ৪০ শতাংশ।

আবার রেস্টুরেন্ট ব্যবসাতেও অনেক দূর এগিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এক অনলাইন খাবার সাপ্লাই সংস্থার হিসাব অনুযায়ী হোম ডেলিভারি প্রায় ৮৫ শতাংশ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে হোটেলে খাওয়ার প্রবণতা এখনো অনেক কম আছে। যদিও কলকাতায় ৩০% রেস্তোরাঁতে খেতে দেখা যাচ্ছে মানুষকে। কলকাতা এক্ষেত্রে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!