এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উন্নয়ন নাকি গণতন্ত্র? সালিশি সভায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে

উন্নয়ন নাকি গণতন্ত্র? সালিশি সভায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের ওপর শাসকদলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তো ছিলই, আর এবার পারিবারিক ব্যাপারেও সেই শাসকদলের নাক গলানোর অভিযোগ উঠল। সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন যে দল নারী জাতিকে সম্মান দেওয়ার কথা বলে, সেই দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই পারিবারিক সমস্যা মেটাতে গিয়ে পুত্রবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল। আর যে ঘটনায় এখন চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপাড়া থানার কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসাই রায়পাড়ায়।

জানা গেছে, বেশ কয়েকমাস ধরে এই রায়পাড়ার মণ্ডল পরিবারের প্রবল অশান্তি চলছিল। বাড়িতে ষাটোর্ধ্ব শশুর, শাশুড়ি থাকলে সেই শ্বশুর শাশুড়ির একমাত্র ছেলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে তাদের চরম বিবাদ চলছিল। শশুরের অভিযোগ, তাদের বাড়ি এবং জমি লিখে দেওয়ার জন্য তার পুত্র এবং পুত্রবধূ সমানে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু শশুর সেটাতে রাজি না হওয়ায় কিছুদিন আগেই পুত্রবধূ শশুরের নামে কানাইপুর ফাঁড়িতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বৃদ্ধ শশুর কানাইপুর পঞ্চায়েতে শাসক দলের নেতাদের দ্বারস্থ হলে ভোট শেষ হলে গোটা ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন সেই তৃনমূল নেতারা। সূত্রের খবর, ভোটপর্ব শেষ হতেই সোমবার এই ব্যাপারে আলোচনায় বসা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কোন্নগর পুরসভা জল দপ্তরের কর্মী সনৎ কর, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রেখা পাল সহ অন্যান্যরা। প্রথমেই সেই আলোচনায় দু’পক্ষকেই নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও সেই সময় সেই গৃহবধূর সাথে তৃণমূল নেতাদের তীব্র বচসা শুরু হয়।

এদিকে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সনৎ করের নির্দেশে সেই গৃহবধূকে টানাহেচরা করে, তাকে বিবস্ত্র করে প্রবল মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। আর এই ঘটনাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। কেন আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ এই গৃহবঁধূকে মারধর এবং বিবস্ত্র করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

জানা গেছে, এই ঘটনার পরই সেই নির্যাতিতা গৃহবধূ কানাইপুর ফাঁড়িতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সনৎ কর সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। যদিও বা এই ব্যাপারে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সনৎ কর। এদিন তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করা হয়েছে।” অন্যদিকে গোটা ঘটনা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!