এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তা হলে কি উন্নয়ন করাটাই অপরাধ হয়েছে! হেরে গিয়ে ফুঁসছেন তৃণমূলের সভাধিপতিরা

তা হলে কি উন্নয়ন করাটাই অপরাধ হয়েছে! হেরে গিয়ে ফুঁসছেন তৃণমূলের সভাধিপতিরা

রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত  নির্বাচনে আশ্চর্যজনকভাবেই বহু বিতর্কিত কেন্দ্র জঙ্গল মহলে পরাজিত হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরাজয়ের কারণ খুঁজতে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্বের মতে রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল পুরুলিয়া , ঝাড়্গ্রাম প্রভৃতি জেলা উন্নয়নের স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়  বললেন, ”জঙ্গলমহলে উন্নয়নের যাবতীয় বন্দোবস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও কেন সেখানে আশানুরূপ ফল হয়নি, তা দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা হবে।” উল্লেখ্য রাজ্যের বাম শাসন কাল থেকেই বঞ্চনা এবং দারিদ্র্যের শিকার হয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত এই অঞ্চল গুলি। কিন্তু রাজ্য সরকারের পরিবর্তনের সাথে সাথেই এই অঞ্চল গুলিতে উন্নয়নের জন্যে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের কাছে এই উন্নয়নের কোনো সুপ্রভাব যাচ্ছেনা দেখে কার্যতই হতবাক রাজ্যের শাসক দল। উল্লেখ্য ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির বেশিরভাগ জন প্রতিনিধিই শাসক দলের সদস্য। এই সমস্ত এলাকায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফর করে উন্নয়ন কার্য  ক্ষতিয়ে দেখেছেন ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তা সত্ত্বেও যদি উন্নয়ন কার্যে অস্বচ্ছতা থেকে থাকে তার দায়িত্ব স্বভাবিক নিয়মেই এলাকার স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ওপরে ন্যস্ত হয়। এখন অভিযোগ উঠছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় মানুষ জনেদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখেনা। এই পরিপ্রক্ষিতে এইসব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সোরেন নিজের প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ”আমাকে নিয়ে এই অভিযোগ যদি দলে উঠে থাকে, সেটাই লিখে দিন।” অন্যদিকে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর মতে, ”মানুষ মনে করেছে বিজেপির কাছে গেলে আরও বেশি উন্নয়ন পাবে। তা ছাড়া, তৃণমূলের টিকিট না পাওয়া নিয়েও এলাকায় বিক্ষোভ ছিল।” একইসাথে ঝাড়গ্রামের পরাজিত এবং স্বভাবতই বিক্ষুদ্ধ সভাধিপতি সমায় মান্ডি সংশয় প্রকাশ করে বললেন, ”নেত্রী উন্নয়ন করবেন আর তাতে ভোট হবে, তা হয় নাকি!”   আবার পুরুলিয়ার পরাজিত সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো বললেন, ”তা হলে কি উন্নয়ন করাটাই অপরাধ হয়েছে!” অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আত্মবিশ্বাসের সুরে বললেন, ”গোটা দেশেই আদিবাসী জনজাতির মধ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। এখানেও ব্যতিক্রম হয়নি।” যদিও রাজ্যের শাসক দল নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের ত্রুটি খুঁজে বের করেছেন। চিহ্ণিত করেছেন তাদের ব্যক্তিগত ঘাটতিও। যে গুলি এইসব অঞ্চলে শাসক দলের পরাজয়ের সম্ভাব্য চুড়ান্ত কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!