এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > উন্নয়ন রুখতেই খুন? তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির নৃশংস হত্যায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত

উন্নয়ন রুখতেই খুন? তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির নৃশংস হত্যায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত

যাদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে অবাধ সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিলো দফায় দফায়, এবার তাঁদের দলেরই কর্মী খুন হল পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার এতোদিন পরেও। কথা হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের। কার্যত হাতে কলমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইতি হলেও হিংসার রাজনীতির রাশ যেন কিছুতেই টানা যাচ্ছে না। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে উঠে আসা হিংসার নজির আতঙ্ক সৃষ্টি করছে আমজনতার মনে। এবার রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের ঘটনায় নজর কাড়ল বর্ধমানের আউশগ্রাম এলাকা। এই এলাকারই বিল্বগ্রাম অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিলো।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন বনগেটের পাশে অবস্থিত চায়ের দোকানে কয়েকজন সহকর্মীদের নিয়ে গল্প করছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বলবাবু। সেসময় তাঁর দিকে তাক করেই বোমা ছোঁড়ে কিছু দুষ্কৃতি। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যাপকভাবে লাঠি,রড,টাঙ্গি দিয়ে বেধড়ক মারধোর করা হয়, মাথায় সজোরে আঘাত করা হয়। এর জেরে মাথায় এবং পায়ে আঘাত লাগে এবং গুরুতর জখম হন তিনি । একইসঙ্গে এই হামলার শিকার হন মনা বাগদি নামে উজ্জ্বল বাবুর এক অনুগামী। সেই রাতেই দুজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে উজ্জ্বল বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কোলকাতার পিজিতে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু কোলকাতা যাওয়ার পথে ডানকুনির কাছেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনার চারদিন পর নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার গেলে গ্রামবাসীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন। ক্ষোভ এতোটাই তীব্র হয় যে, শেষ অব্দি তাকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়। ওদিকে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় আগেই আবার অভিযোগে জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে নাকি বেশ কদিন ধরে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে কিছু দুষ্কৃতি। নিহত নেতার ভাই তড়িঘড়ি করে ১৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় থানায়।
ইতিমধ্যে পুলিশি তদন্তের তৎপরতায় ঘটনার ১০ দিনের মাথায় মূল অভিযুক্ত জয়দেব মন্ডল গ্রেফতার হন। এর আগে আগেই পুলিশ পাকড়াও করেছিলো আরো সাতজনকে। এমনটাই জানিয়েছেন বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিস সুপার প্রিয়ব্রত রায়। তবে এটাও জানা যাচ্ছে যে,পুলিশি গ্রেফতার কর্মসূচির আগেই জয়দেব বাবুকে গ্রেফতারের দাবীতে সরব হয়েছিলেন গ্রামবাসী। এরপরই পুলিশ সক্রিয় অভিযান চালায় দোষীদের হেফাজতে আনতে। গোপনসূত্রে খবর পেয়েই কার্যসিদ্ধি হয় এদিন। বর্ধমান আদালত মূল অভিযুক্ত জয়দেব মন্ডলকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আরো জানা যাচ্ছে যে, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির এভাবে নৃশংহ খুনের পর এলাকায় সুষ্ঠু উন্নয়নের জন্য ৯ জন কর্মী নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এলাকায় তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের দাবী যে, পঞ্চায়েত ভোটের পর গোটা এলাকায় যে উন্নয়নের বন্যা বয়ে গেছে ওটাই সহ্য হয়নি বিরোধীদের। তাই তাঁরা দুষ্কৃতি লাগিয়ে খুন করেছে তাঁদের অঞ্চল সভাপতিকে। আপাতত এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের ভীতর তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!