এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উন্নয়নে ভর করে কি গেরুয়া হাওয়া রুখে দিতে পারবেন মমতা? মুকুল-শুভেন্দু জুটির ভূমিকা নিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি তুঙ্গে!

উন্নয়নে ভর করে কি গেরুয়া হাওয়া রুখে দিতে পারবেন মমতা? মুকুল-শুভেন্দু জুটির ভূমিকা নিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের দুই অন্যতম প্রধান স্তম্ভ মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। আর তারপর বিধানসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, ঠিক তখনই মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র তথা তৃণমূলের দুই দিনের সঙ্গী হিসেবে পরিচিত দলের শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারী নাম লেখালেন পদ্ম শিবিরে। বলা বাহুল্য, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের সংগঠন বলতে যদি খুঁটিনাটি হিসেব কারও কাছে থাকে, তাহলে তার মধ্যে অন্যতম এই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী।

স্বাভাবিক ভাবেই তারা দুজনেই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ টিমে চলে আসায় তৃণমূলের পক্ষে এবারের নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে সাফল্য পাওয়া অত্যন্ত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই দাবি করছেন একাংশ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিজের প্রাক্তন দলকে লিমিটেড কোম্পানি বলে দাবি করে এসেছিলেন মুকুল রায়। এমনকি তার হাত ধরেই তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন।

সাম্প্রতিক কালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক এবং সংসদ তার পথ অনুসরণ করে নাম লেখান ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আগামী দিনে এই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী এক টিমে থেকে কাজ করলে তৃণমূলের ঘর আরও ভাঙতে শুরু করবে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি শুধুমাত্র উন্নয়নের ওপর ভর করে এবারের নির্বাচনে সাফল্য ছিনিয়ে আনতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

একাংশের দাবি, শুধুমাত্র উন্নয়নের উপর ভর করে এবার তৃণমূল কংগ্রেস সাফল্য পাবে না। কেননা সংগঠন বলেও রাজনীতিতে একটা বিষয় রয়েছে। সেদিক থেকে শাসকদলে প্রতিনিয়ত ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। যা সামলাতে কার্যত ব্যর্থ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায় তৃণমূলের অন্দরমহলের সব পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকায় তারা তাদের প্রাক্তন দলে ভাঙন ধরাতে কৌশলী ভূমিকা পালন করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর যদি শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের জুটি এই কাজ করা শুরু করে দেয়, তাহলে তৃণমূলের সংগঠন বলে আর কিছুই থাকবে না বলে দাবি সমালোচক মহলের। স্বাভাবিক ভাবেই সংগঠন যদি না থাকে, তাহলে নির্বাচনে কিভাবে তৃণমূল লড়াই করে সাফল্য পাবে, সেটাই বড় সংশয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জেলা সফর শুরু করার সাথে সাথেই তৃণমূলে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরতে শুরু করবে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বিভিন্ন জেলা সফর করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রীকে। অর্থাৎ প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তিনি যে এখন অনেকটাই ময়দানে নেমেছেন, তা বলাই যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারীর মত দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে নিজের দলের শ্রীবৃদ্ধি করলেও, সেই দুজনের মধ্যে কেউই আজ তৃণমূল নেত্রীর সাথে নেই। তারা প্রত্যেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধ প্রতিপক্ষ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা।

এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে এবং রাজ্যের শাসক শিবিরকে চাপে রাখতেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই জুটি যদি ময়দানে নামেন, তাহলে একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের গড় কতটা রক্ষা করতে পারবেন, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলা রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!