প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন তাঁর সবথেকে বড় লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তাঁর প্রথমবারের পাঁচ বছরে দুর্নীতি নিয়ে তাঁর দিকে বা তাঁর মন্ত্রিসভার দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারবেন না। আর এবার, তিনি গোটা দেশ থেকেই দুর্নীতি নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। আর সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবার এ যাবৎ কালের সবথেকে বড় পদক্ষেপ নিলেন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

যোগী আদিত্যনাথ তাঁর গত দুই বছরের শাসনকালে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা ২০১ জন আধিকারিকের বাধ্যতামূলক অবসরের ব্যবস্থা করেছেন এবং সব মিলিয়ে ৪০০ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এমনকি শাস্তিপ্রাপ্ত আধিকারিকদের পদোন্নতিও বন্ধ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পরেই দুর্নীতি বন্ধে পঞ্চাশোর্ধ অফিসারদের জন্য বিশেষ স্ক্রিনিং চালু করেন।

সেখানে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ পেলেই পঞ্চাশোর্ধ আধিকারিক ও কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যেই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পঞ্চাশোর্ধ সরকারী কর্মচারীদের অবসর নেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিভাগ থেকে স্ক্রীনিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্ক্রীনিং কমিটি ৩১ শে মার্চ ২০১৭ থেকে ১৯ শে মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, গত ২ বছর ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যোগী সরকার যে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আজ পর্যন্ত কোনো রাজ্যের সরকার নিয়ে দেখাতে পারে নি। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত সরকার ২০০ জন আধিকারিকের বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণের ব্যবস্থা করেছে। ১০০-এরও বেশি আধিকারিক এখনও সরকারের র‌্যাডারে রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই প্রথম কোনো রাজ্য সরকার ৬০০-এরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখিয়েছে।