রাজ্যের আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্যকে বড়সড় পরামর্শ ও সমালোচনা, ফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে রাজ্যপাল কলকাতা রাজ্য November 1, 2019 এতদিন রাজ্যের গণতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের গলায় যে আশঙ্কার সুর শোনা যেত, এবার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের গলায় সেই একই সুর শোনা গেল। যা নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের অস্বস্তিতে প্রবল পরিমাণে বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বস্তুত, রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনকার শপথ নেওয়ার পরই বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির কালীপুজোয় রাজ্যপালের যাওয়া নিয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়তো সৌহার্দের চাদরে মুড়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কে সৌজন্যতা ভেসে উঠবে। কিন্তু না, এবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্যকে কিছুটা সতর্ক করে দিতে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলার রাজ্যপাল। আর সেখানেই আসন্ন রাজ্যের তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি আশা করব আগামী উপনির্বাচনগুলো শান্তিতে হবে। এই রাজ্যের মানুষ ভোটে হিংসা চান না। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হোক।” এদিকে রাজ্যে আগত নির্বাচন নিয়ে যেমন আশা প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে, ঠিক তেমনই সদ্য সমাপ্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “লোকসভা ভোট থেকে শিক্ষা নিক রাজ্য। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় এই রাজ্য সম্বন্ধে সারাদেশে যে ধারনা তৈরি হয়েছিল, আশা করি আসন্ন নির্বাচনে তার থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে জাগদীপ ধনকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন দিয়ে তিনি রাজ্যের নির্বাচন দেখে নিতে চাইছেন। আর তাইতো বিগত লোকসভা ভোটে বিরোধীরা যে সন্ত্রাসের কথা রাজ্যে তুলে ধরেছিল, সেই সন্ত্রাস যাতে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম নির্বাচনেই না হয়, তার জন্য সকলকে সতর্ক করে দিলেন রাজভবনের প্রধান ব্যক্তি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -