এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উপনির্বাচনে জট – পছন্দ নয় প্রার্থী! খড়্গপুরে বিজেপির আভ্যন্তরীণ “বিদ্রোহ” মেটাতে আসরে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব

উপনির্বাচনে জট – পছন্দ নয় প্রার্থী! খড়্গপুরে বিজেপির আভ্যন্তরীণ “বিদ্রোহ” মেটাতে আসরে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব


 

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গত 2016 সালে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন। তারপর যতদিন গিয়েছে, ততই সেই দীলিপবাবুর হাত ধরে এলাকায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সেই দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করার পর তার ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।

সেখানে প্রথমেই তৃণমূল এবং বাম- কংগ্রেস জোট তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেও সেদিক থেকে নিজেদের দখলে থাকা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করতে অক্ষম ছিল গেরুয়া শিবির। প্রথম থেকেই বিজেপির তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছিল। অবশেষে সম্প্রতি এখানে বিজেপির তরফ প্রার্থী ঘোষণা করা হয় প্রেমচাঁদ ঝাকে। তবে তাকে তারা মানবেন না বলে একাংশ বিজেপি কর্মী সমর্থক বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেন।

যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, প্রেমচাঁদবাবুকে প্রার্থী করার সাথে সাথেই “বিজেপি বাঁচাও কমিটির” নাম দিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে যান পাঁচবারের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ পট্টনায়েক। তবে দলের দখলে থাকা হেভিওয়েট কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত খড়গপুর যদি এবার দখলে না রাখা যায়, তাহলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধাক্কা খেতে হবে, তা বুঝতে পেরেছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

আর তাই তো গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে এবার মাঠে নামতে হল বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তথা রাজ্য পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে খড়গপুরে এসে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দলের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন অরবিন্দ মেনন। দেখা করেন বিগত পাঁচবারের বিজেপি প্রার্থী এবং যিনি এবার নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন সেই প্রদীপ পট্টনায়কের সঙ্গেও।

তবে এদিন প্রদীপবাবুর নির্দলের হয়ে নমিনেশন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকমতো তথ্য না থাকায় তিনি এদিন তার নমিনেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে বিজেপির প্রার্থী অসন্তোষের জেরে যেভাবে দলের অন্দরেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তা মেটাতে আসরে নামা অরবিন্দ মেনন কি সফল হতে পারলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “মেননজী দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে কথা বলছেন। সবাইকে কাজে নেমে যেতে বলেছিলেন। সঙ্গে প্রার্থী পছন্দ-অপছন্দের কোনো সম্পর্ক নেই।”

অন্যদিকে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলে তিনি প্রার্থী হবেন, তার হয়ে আমরা সবাই কাজে নেমে পড়বে বলে জানান বিজেপির রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায়। তবে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরও সেই ভাবে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি প্রেমচাঁদবাবুকে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সবমিলিয়ে উপনির্বাচনে খড়্গপুরে প্রবল সমস্যায় গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!