এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উপনির্বাচন কবে হবে? জানতে এবার নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন তৃণমূলের সাংসদীয় নেতারা

উপনির্বাচন কবে হবে? জানতে এবার নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন তৃণমূলের সাংসদীয় নেতারা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত সময় যাচ্ছে, ততই বাংলার উপনির্বাচন নিয়ে কার্যত তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো অবশ্যম্ভাবী। নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকলেও সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী তাকে ছ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন জিতে আসতে হবে। কিন্তু উপনির্বাচন করানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনরকম কথা বলা হচ্ছেনা।

তাই এবার তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে উপ নির্বাচনের আবেদন জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের শাসক দল উপনির্বাচন করানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। কার্যত উপ নির্বাচনের পর রাজ্যের পুরভোট হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, রাজ্যসভায় দুটি আসনে ভোট করা যেতে পারে কিনা? তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু জানিয়ে দেন তাঁর ইতিবাচক উত্তর। কিন্তু উপ নির্বাচন নিয়ে এর সাথে প্রশ্ন তোলা হয়। তার কোন উত্তর এখনো পর্যন্ত কমিশন দেয়নি। তাই এবার তৃণমূলের তরফ থেকে কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে পুরো বিষয়টির ওপর আলোকপাত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

রাজ্যের যে সাতটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন বাকি, সেগুলি হল- ভবানীপুর, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দা, গোসাবা, জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ভবানীপুর আসন থেকে বরাবরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়াতে চলেছেন। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, খড়দা আসন থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াবেন। কার্যত তিনি তাঁর জেতা ভবানীপুর আসনটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের সুযোগ করে দিতে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের উপনির্বাচন নিয়ে কোনোরকম উচ্চবাচ্য না করার কারণ হিসাবে শাসক দলের নেতারা কিন্তু ঘরোয়া আসরে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি চাইছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে। ছয় মাসের মধ্যে যদি উপনির্বাচন না করানো হয়, তাহলে নিয়মানুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে হবে। আর সেটাই লক্ষ্য বিজেপির, অন্যদিকে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাস্তায় নামলে তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাই সব স্বাভাবিক না হলে ভোট করানো যাবেনা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এই রকমই একটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ভোটে না জিতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। সে সময় শিবসেনা প্রধানের জন্য উপনির্বাচনে একটি আসন ছেড়েও দিয়েছিলেন এক বিধায়ক।

কিন্তু করোনার কারণে উপনির্বাচন হতে বাধা হয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রের সুবিধা হল, সেখানে বিধান পরিষদ রয়েছে। অতএব বিধান পরিষদের হাত ধরে উদ্ধব ঠাকরে বিধায়ক হবার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়াড়ি বাদ সাধেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এরকম কোন বিধান পরিষদ নেই। তাই সবদিক থেকে এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাজ্যের শাসক দল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সময়ের মধ্যে যদি উপনির্বাচন না হয়, তাহলে বাংলার সাংবিধানিক শান্তি বিঘ্নিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই গত্যন্তর না দেখে এবার সোজাসুজি নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানাতে চলেছেন তৃণমূল সংসদীয় প্রতিনিধিদল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!