এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপনির্বাচনে লড়ছেনা বিজেপি, হার নিশ্চিত জেনে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত-বিতর্ক তুঙ্গে

উপনির্বাচনে লড়ছেনা বিজেপি, হার নিশ্চিত জেনে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত-বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী 9 আগস্ট রাজ্যসভার সাংসদ পদে উপনির্বাচন হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী আসন ছেড়ে চলে যাওয়ায় সে জায়গায় ভোট বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। গতকাল রাজ্যসভার সাংসদ আসনে ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। কিন্তু এই নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে কোন প্রার্থী দেওয়া হচ্ছেনা। কার্যত রাজ্যসভার সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেনা বিজেপি বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি টুইট করে জানান, রাজ্যসভায় নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল সবার জানা। তাই বিজেপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেনা। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ পদের নির্বাচনে বিধানসভার বিধায়করা অংশগ্রহণ করে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদেরই দাপট বেশি। যথারীতি তাঁদের হাত ধরে রাজ্যসভয় জয় হবে তৃণমূল প্রার্থীর। আর এই আশঙ্কা করে বিজেপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেনা বলে জানিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও এই ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। কারণ কিছুদিন আগেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, হার নিশ্চিত জানা সত্বেও তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবেনা। সেক্ষেত্রে প্রতীকি হলেও রাজ্যসভার আসনে লড়াই করবে বিজেপি। এমনকি দলে কে প্রার্থী হবেন, সেই নিয়েও আলোচনা শুরু হবে বলে দিলীপ ঘোষ জানান। কার্যত শুভেন্দুর ঘোষণায় দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র মতভেদ প্রকাশ্যে এল। এবং এই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, গেরুয়া শিবিরের ভাঙন ঠেকাতে বিরোধী দলনেতা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কার্যত শুভেন্দুর সঙ্গে একাধিক বিধায়ক কাজ করতে চাইছেনা বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভোট হলে তাঁরা শিবির বদলাতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যসভায় তৃণমূলের জয় এবার আরও নিশ্চিত হলো। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের এই মতভেদ একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিল রাজনৈতিক মহলে, সাথে গেরুয়া শিবিরে চাপা অস্বস্তির। কার্যত এই নিয়ে বিতর্কের জল যে আরও ঘোলা হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!