এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উপনির্বাচনের আগে চরম বিদ্রোহ বিজেপিতে! ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরের!

উপনির্বাচনের আগে চরম বিদ্রোহ বিজেপিতে! ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরের!

1951 সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী খালি থাকা কেন্দ্রগুলিতে উপ নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। আর সেই শর্তেই এবার কর্ণাটক লোকসভা কেন্দ্রের খালি থাকা আসনগুলির জন্য উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হল। একসাথে 15 টি আসনে কর্নাটকে উপ নির্বাচন হবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কর্নাটকের উপনির্বাচনের জন্য দিন ঘোষণা হয়েছে 5 ডিসেম্বর। এই ঘোষণার পর থেকেই কর্নাটকের রাজনীতিতে যথেষ্ঠ আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

উপনির্বাচনের প্রতিনিধিত্ব করতে প্রত্যেকটি দলই রীতিমত তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তার আগেই কর্ণাটকে বিজেপি দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করেছে। বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের বিরোধী বিধায়করা ভোটে দাঁড়াবার জন্য যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। আর এরপরই কর্ণাটক বিজেপিতে নতুন আর পুরনোদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

ইতিমধ্যে দল বিরোধী কাজের জন্য দুই বিজেপি বিধায়ক স্বার্থ বাচেগৌড়া এবং কবিরাজ উরসকে বহিস্কার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে তাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ওই দুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়কের নির্দল টিকিটে উপ নির্বাচনে লড়ার খবর আগেই পেয়েছিল বিজেপি, আর সে কারণেই কালক্ষেপ না করে দল তাঁদের বহিষ্কার করে। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বললেও তাঁরা তা করেননি।

সূত্রের খবর, কর্নাটকের হাসোকটে কেন্দ্রে বিজেপি সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়ক এমটিবি নটরাজনকে প্রার্থী করা হয়। আর এখান থেকেই শুরু হয় গন্ডগোল। এই ঘটনার ফলে সেখানকার পুরনো বিজেপি বিধায়ক স্বার্থ বাচেগৌরা বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর তার পরেই তিনি নির্দল হিসেবে নিজের মনোনয়ন জমা দেন। অন্যদিকে জেডিএস তাঁকে সমর্থন জানায় এবং সেই কেন্দ্রে কোন প্রার্থী দেয় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনা সামনে আসার পরেই ইয়েদুরাপ্পা বাচেগৌরাকে বহিষ্কার করেন। তবে সূত্রের খবর, এবারের উপনির্বাচনে বিজেপি যেভাবে নতুনদের নির্বাচনে লড়ার টিকিট দিয়ে যাচ্ছে, তাতে পুরাতন সদস্যরা যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভেতরে-ভেতরে। এর ফলে কর্ণাটক বিজেপিতে নতুন করে সঙ্কট মুহূর্তে তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই উপনির্বাচনে বহুল পরিমাণে ভোট কাটাকাটি হবে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আসন্ন উপনির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে। তবে উপ নির্বাচনে লড়তে নেমে রাজনৈতিক দলগুলি কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে, সেদিকে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের দল। আপাতত দেখার কর্নাটকের রাজনৈতিক শিবিরেও কি মহারাষ্ট্রের মতন বিজেপি কোণঠাসা অবস্থায় থাকবে নাকি ফল অন্য রকম হবে। তা জানতে আপাতত অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুদিন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!