প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের হিংসা নিয়ে যখন সোচ্চার হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি, ঠিক তখনই ব্যাপকভাবে বিজেপির চাপ বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের প্রচারে গিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরলেন তিনি। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একাংশ বলছেন, বিজেপি বর্তমানে হিংসার কথা তুলে ধরে ভবানীপুরের নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে আরও চাপে ফেলতে চাইছে। কিন্তু সেই বিজেপিকেই পাল্টা চাপে ফেলে দিয়ে তাদের দখল করা রাজ্যগুলোতে কি অবস্থা, তা তুলে ধরে গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়ার সুকৌশলী চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, আজ ভবানীপুর বিধানসভায় একটি প্রচারে উপস্থিত হন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনো আইন আছে নাকি? কোনো আইন নেই। বিহার, উত্তরপ্রদেশ। আসামে কি হচ্ছে? পিটিয়ে মারছে পুলিশ। আজ দিল্লিতেও আদালতের ভেতরে গুন্ডামির জন্য তিন জনের প্রাণ গিয়েছে।” এদিকে তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিজেপির চাপ যে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগেও বহুবার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পর সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরার মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে সংগঠন শক্তিশালী করার দিকে তৃণমূলের দৃষ্টি পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রচার সভায় উপস্থিত হয়ে সেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে যে আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।