এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উপনির্বাচন নিয়ে ফের কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল? পার্থর মন্তব্যে জল্পনা!

উপনির্বাচন নিয়ে ফের কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল? পার্থর মন্তব্যে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হননি। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করে তিনি বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাকে যে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে আসতে হবে। ইতিমধ্যেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিধানসভা কেন্দ্র ছেড়ে দিয়ে নিজের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন।

অন্যদিকে একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মৃত্যুর কারণে নির্বাচন না হওয়া এবং বিধায়কের মৃত্যু হওয়ার কারণে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি। তাই খুব দ্রুত যাতে  উপনির্বাচন করানো হয়, তার জন্য আবেদন করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের একাংশ আশঙ্কা করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মুখ্যমন্ত্রী না থাকতে পারেন, তার জন্য সেই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দিতে গেরুয়া শিবির পরিকল্পনা করছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ফের উপনির্বাচনের দাবি নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপনির্বাচন করানোর স্বপক্ষে যুক্তি দেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে খুব দ্রুত তারা আবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, “রাজ্যে উপনির্বাচন করানোর জন্য কমিশনের কাছে বলেছি। আমরা প্রস্তুত। কয়েকবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও আমরা গিয়েছি। উত্তর না এলে দুই একদিন পর আবারও কমিশনের কাছে যাব। অবিলম্বে উপনির্বাচন করানো হোক। যাদের কাছে 213 আসন রয়েছে, তারা ভয় পায় না। আমাদের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এবার অবিলম্বে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, তারা খুব দ্রুত উপনির্বাচন করিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সাংবিধানিক নিয়মের জন্য সরতে না হয়, তার চেষ্টা করতে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই বারংবার করোনা পরিস্থিতি বাংলায় স্বাভাবিক, এই যুক্তিকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে জোর দিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল বলে মনে করছেন একাংশ।

বলা বাহুল্য, বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোনোমতেই উপ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস যখন বিধানসভা উপনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে, তখন বিজেপি পাল্টা তাদের পক্ষ থেকে দাবি করছে যে, তাহলে কেন বাংলায় পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে না! অর্থাৎ যে যার যুক্তিতে অনড়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই উপনির্বাচনের কথা তুলে ধরে খুব দ্রুত যে তারা আবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন, তা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!