এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উপনির্বাচনে মরিয়া তৃণমূলকে চাপে ফেলে পাল্টা কৌশল বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি!

উপনির্বাচনে মরিয়া তৃণমূলকে চাপে ফেলে পাল্টা কৌশল বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সেই নির্বাচন করানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়নি। তবে দ্রুত যাতে এই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন করানো হয়, তার জন্য বারবার কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকে বলছেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। কেননা তিনি 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করলেও পরাজিত হয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাকে যে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে না আসলে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।

আর এই পরিস্থিতিতে দ্রুত যাতে উপনির্বাচন করানো হয়, তার জন্য বারবার কমিশনের কাছে আবেদন করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে উপনির্বাচন পরে হবে, আগে শাসকদল পৌরসভা নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করুক বলে দাবি করা হচ্ছে। যার জেরে একাংশ বলছেন, বিজেপি আসলে কৌশলগতভাবে এই দাবি করে উপনির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতে চাইছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলার বেশকিছু বিধানসভা নির্বাচন যাতে এখন না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে আবেদন করা হল। যার ফলে বিজেপির এই চিন্তা ভাবনা কৌশলগতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলার অন্যতম লক্ষণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি আবেদন জানানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যে পরিবহন পরিষেবা অত্যন্ত কম। পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এখন কোনোমতেই যাতে নির্বাচন করানো না হয়, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই আবেদন করে যাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের শাসকদলের নির্বাচন করার আবেদনকে মান্যতা না দেয়, তার জন্যই বঙ্গ বিজেপির এই ধরনের উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিজেপি এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করছেন। যাতে শাসক দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও চাপের মুখে ফেলা যায়। আর সেই কারণেই এখন উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নিজেদের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাতে শুরু করল বঙ্গ বিজেপি বলেই মনে করছেন একাংশ।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই একাধিকবার বাংলার যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, সেই সমস্ত কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দাবি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। খুব দ্রুত তারা আবার এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবে বলে খবর। তবে তার আগেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে যাতে এখনই নির্বাচন না হয়, তার জন্য পাল্টা কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অর্থাৎ বাংলার বর্তমান বকেয়া বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে এখন শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শেষ পর্যন্ত এই গোটা পর্বে কারা শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!