প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে চারটিতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। চার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়লাভ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি করছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তার মাঝেই সকাল সকাল গণনা শুরু হতেই বড়সড় বিপাকে পড়লেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী পাওয়া সত্ত্বেও গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন এই তৃণমূল সাংসদ।

যা রীতিমতো নিয়ম বিরুদ্ধ। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মহুয়া মৈত্র কোনো নিরাপত্তারক্ষী গ্রহণ করেন না। তাই তিনি গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তা নিয়মভঙ্গের মধ্যে পড়ে না। আর এই বিষয় নিয়ে সকাল থেকেই দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। তবে বেলা গড়াতে না গড়াতেই এই ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ সতর্ক করে দিল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, আজ শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা শুরু হতে না হতেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। যেখানে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। পরবর্তীতে এই গোটা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আর তারপরেই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে কমিশন। যেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে রীতিমতো সতর্ক করে দেওয়া হয় কৃষ্ণনগরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোটের দিন এমনিতেই বুথ দখল সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আর এবার গণনার দিনেও নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠল হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল হয়ত বা চার কেন্দ্রে জয়লাভ করবে। কিন্তু জয়লাভের দিকে যখন এগিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থীরা, ঠিক তখনই কমিশনের পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা তৃণমূলের চাপ কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।