এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপসর্গহীনরাই সবথেকে বেশি করোনা ছড়াচ্ছে? কলকাতার নতুন তথ্যে হাড় হিম স্বাস্থ্যদপ্তরের

উপসর্গহীনরাই সবথেকে বেশি করোনা ছড়াচ্ছে? কলকাতার নতুন তথ্যে হাড় হিম স্বাস্থ্যদপ্তরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বেশ কিছুদিন আগেই রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের গণ্ডি পার করেছিল। গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৫৭ জন, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের, সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত জেলা কলকাতা। যেখানে করোনার আক্রান্তের মোট সংখ্যা গত কাল ছিল ৮৭৪ জন। হাওড়া জেলাতে ছিল ২৭৮ জন, উত্তর ২৪ পরগনাতে ৮৬৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ২৫৯ জন।

প্রসঙ্গত, উপসর্গহীন করোনা রোগীর থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক হারে, এমন একটি আশঙ্কা ছিল চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মনে। যার স্পষ্ট প্রমাণ পেতে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যে সমীক্ষায় দেখা গেছে, উপসর্গহীন করনা আক্রান্ত থেকেই করোনার সংক্রমণ বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সম্প্রতি, কলকাতা মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জানতে যৌথভাবে এক সমীক্ষার আয়োজন করেছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই সমীক্ষায় দেখা গেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে যারা সরাসরি করোনা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন ৩০% গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি কর্মী করোনা সংক্রামিত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী গত ২৭ সে জুলাই থেকে গত ২৬ সে আগস্ট সময় পর্যন্ত মেডিকেল কলেজের ৪২৬ জন চিকিৎসক, ১৪৮ জন নার্সিং স্টাফ ও অন্যান্য ১৪০ জন স্বাস্থ্য কর্মীর পরীক্ষা করা হয়েছিল এই সেরোর সমীক্ষায়। সমীক্ষায় উপসর্গহীন আক্রান্তর মোট পরিমাণ ৯.৬২ %। নার্সদের ক্ষেত্রে যার পরিমাণ ৫.৪১ % গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে যা ৩০ %। উপসর্গ করোণা আক্রান্তরা যে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ ঘটাতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক করে মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় চিঠি দিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেরোর এই সমীক্ষার প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ও সেইসঙ্গে রিউম্যাটোলজি ক্লিনিকের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক কৌশিক বসু জানালেন যে, স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চললে তার সুফল মিলবে। অধিক পরিমানে শৃঙ্খলা মেনে চলবার কারণেই নার্সদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা কম। তিনি আশঙ্কা করেছেন যে, হাসপাতালে সমস্ত রকম সতর্কতা মেনে চলার পরও উপসর্গহীন আক্রান্তের ব্যাপক সংখ্যা মেলায়, যে কোনো রকমের জনসমাগম থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

সেরোর এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিকিৎসক, নার্স ছাড়াও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মধ্যে ২৪ %, অফিস করণিক দের মধ্যে ৩৮.৯ %, ওয়ার্ড বয়, সাফাইকর্মীদের মোট ৩০%এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। কলকাতা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর অরুণাংশু তালুকদারের জানিয়েছেন যে, প্রত্যক্ষভাবে করোনা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নন যারা, তাদের প্রত্যেকেরই প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

তাঁর আরও বক্তব্য, পিপিইর ব্যবহারে যেমন সতর্ক থাকা প্রয়োজন, তেমনি উপসর্গহীন আক্রান্তদের থেকেও যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এ বিষয় নিয়ে সাবধান থাকার প্রয়োজন আছে। এ কারনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, পুজোর ভিড় থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। যে কোন উপসর্গহীন ব্যক্তি ব্যাপকহারে করোনা ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!