এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BREAKING – অনশনের দশম দিনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারী

BREAKING – অনশনের দশম দিনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারী


NCTE নর্ম মেনে নিজেদের ন্যায্য বেতনের দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বহুবার আলোচনার চেষ্টা করেও বিফল হয়ে অবশেষে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সদস্যরা গত ১০ দিন ধরে বিকাশ ভবনের অদূরে উন্নয়ন ভবনের সামনে চালিয়ে যাচ্ছেন আমরণ অনশন।

শিক্ষকদের এই আন্দোলনের পাশে সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষনেতারা দাঁড়ালেও রাজ্য সরকার কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছে এতবড় আন্দোলনকে! শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথমে এই আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে না চাইলেও, পরে আন্দোলনের তীব্রতায় সাংবাদিকদের সামনে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে একপ্রকার বাধ্য হন।

পরবর্তীকালে অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে বাধ্য হন তিনি – যদিও কোনও সমাধানসূত্র মেলে নি সেই বৈঠকে। ফলে, অনশন জারি রেখেছেন র্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষকরা। তবে মনে করা হচ্ছিল, যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী আলোচনার টেবিলে বসেছেন, ফলে এবার বরফ গলতে পারে রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু, গতকাল এক দলীয় সমাবেশে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে তীব্র শ্লেষ হানেন।

যাঁদের বলা হয় জাতির মেরুদন্ড বা সমাজ তৈরির কারিগর, তাঁদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায়, তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন। অথচ এই আন্দোলনের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি শোনা যায় নি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের গলা থেকে। উল্টে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় হারে বেতন চাইলে কেন্দ্রে চলে যান! রাজ্যে চাকরি করলে রাজ্যের মতোই বেতন মিলবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বার্তার পর স্বভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ শিক্ষক সমাজ। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাল ছাড়তে বা পিছু হঠতে রাজি নন অনশনকারী শিক্ষকরা বলে গতকালই এক এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউয়ে প্রিয় বন্ধু মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন উস্থির রাজ্য সভাপতি সন্দীপ ঘোষ। আর এবার অনশনের দশম দিনে এসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারী তথা উস্থির রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস। অনশন মঞ্চেই তিনি জ্ঞান হারান।

সূত্রের খবর, সাথে সাথেই তাঁকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর ডাক্তাররা জানিয়েছেন – দশ দিনের অনশনের ফলে পৃথাদেবীর ওজন কমে গেছে প্রায় পাঁচ কেজি। রক্তচাপও নীচের দিকে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাসপাতালে জ্ঞান ফিরে এসেছে তাঁর। আপাতত ডাক্তারি পর্যবেক্ষনে আছেন তিনি, তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গতকালই সন্দীপবাবু জানিয়েছিলেন, প্রথম দিন ধর্ণা কর্মসূচীর পর দ্বিতীয়দিন থেকে আমরণ অনশনে বসেন মোট ১৯ জন শিক্ষক। এরমধ্যে এক শিক্ষকের নিকটাত্মীয় বিয়োগের ফলে শিক্ষকরা একপ্রকার জোর করেই তাঁর অনশন ভঙ্গ করিয়ে তাঁকে সেই সংক্রান্ত আচার পালনের জন্য বলেন। অন্যদিকে, অনশন চলাকালীন আরেক শিক্ষিকাও অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরবর্তীকালে তাঁর ‘হাই সুগার’ থাকায় তাঁকেও আর অনশনে বসতে দেন নি উপস্থিত শিক্ষকরা।

এই পরিস্থিতিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ১৭ জন শিক্ষক। তাঁদের জেনে নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছিল। তবুও, স্বাভাবিকভাবেই গত ১০ দিন ধরে শরীরে কোনো খাদ্যকণা না যাওয়াই শরীর ক্রমশ ভাঙছে অনশনকারী শিক্ষকদের। আর তারফলেই আজ পৃথাদেবী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আরও কতদিন এইভাবে অনশন চালাতে হবে রাজ্যের শিক্ষকদের, আর কত পৃথাদেবীকে অসুস্থ হতে হবে – সেই প্রশ্নই রাজ্য সরকারের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন সুশীল সমাজ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!