এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > উত্থান স্থানেই কি পতন? চীনের ভ্যাকসিন ক্রমশ আশার আলো দেখাচ্ছে

উত্থান স্থানেই কি পতন? চীনের ভ্যাকসিন ক্রমশ আশার আলো দেখাচ্ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার প্রাদুর্ভাব কোথা থেকে শুরু হয়েছিল তা অবশ্য এখন আর কারো অজানা নয়। চীনের ইউহান প্রদেশ থেকে শুরু করোনার, যা কালক্রমে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বিশ্বের বহু দেশ ইতিমধ্যেই চীনকে করোনার জন্য অভিযুক্ত বলে দায়ী করেছে। কিন্তু এই চীনেই এবার শুরু হয়েছে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে, এই প্রতিষেধক পেরিয়ে এসেছে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল। এবং তাতে আশাতীত ভালো ফল করেছে এই প্রতিষেধক বলে দাবি করেছে চীনের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা।

‘দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেজ জার্নালে’ একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনা করোনা ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই 18 থেকে 59 বছর বয়সী ভলান্টিয়ারদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং দেখা গিয়েছে, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে এই ভ্যাকসিন। জানা গিয়েছে, ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা বিভিন্ন ভ্যাকসিনের তালিকায় এবার চীনের পরীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন যোগ হয়েছে। আপাতত এই ভ্যাকসিন সম্সর্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে যেখানে জানা যাচ্ছে, গত 16 এপ্রিল থেকে 5 ই মে এর মধ্যে প্রায় 700 জন ভলেন্টিয়ার এর শরীরে চীনের এই করণা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। এবং দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেকের শরীরেই ভালো কাজ করছে এই ভ্যাকসিন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি বলে খবর। জানা গিয়েছে, সব থেকে কম ডোজের দুটি ইঞ্জেকশন 14 দিনের ব্যবধানে সবাইকে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই সবার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। এই রিপোর্টে আরও বলা হচ্ছে, যারা একবার করোনা সংক্রামিত হয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের শরীরে যতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, সে তুলনায় কিন্তু সংক্রামিত যারা হননি, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি কম তৈরি হচ্ছে ভ্যাকসিনের কারণে। তবে গবেষণা সূত্রে জানা যাচ্ছে, 14 দিনের ব্যবধানে দুবার ইনজেকশন দেওয়ায় ভ্যাকসিনের প্রভাব অনেক বেশি বাড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই 3 মিলিগ্রাম ডোজের ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে, যে যথেষ্ট কার্যকরী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের নাঞ্জিংয়ের জিয়াংশু প্রভিনসিয়াল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে চীনের এই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে চিনা ভ্যাকসিন তৈরি করছেন যেসব গবেষকরা, তার মধ্যে অন্যতম ফেংচাই ঝু জানিয়েছেন, যদি 14 দিনের ব্যবধানে দুটি ইনজেকশন দেওয়া হয় তাহলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে এই ভ্যাকসিন চার সপ্তাহের মধ্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকরা জানিয়েছেন, অতিমারীর সময় জরুরী ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যাবে।

তবে করোনায় যদি ঝুঁকি কম থাকে, সেক্ষেত্রে এক মাসের ব্যবধানে দুটি ইনজেকশন দেওয়া হলে তার প্রভাব অনেক বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ 14 দিনের জায়গায় যদি এক মাসের ব্যবধানে দুটি ইনজেকশন দেওয়া হয় তাহলে অ্যান্টিবডি অনেক বেশি তৈরি হবে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন চীনের পরীক্ষারত গবেষকরা। অবশ্য চীনের নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন শরীরে প্রয়োগের পর কতদিন পর্যন্ত তার প্রভাব থাকবে, তা নিয়ে অবশ্য এখনও গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, চীনের করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির দেহ থেকেই ভাইরাসকে আলাদা করে তৈরি হয়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কার এর প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুইমিং কাউন্টিতে এই ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক নাওর বার জিভ জানিয়েছেন, ট্রায়াল পর্যায়ের ফল ঘোষণা থেকে শুরু করে ভ্যাকসিনের লাইসেন্স পাওয়ার পরেও সতর্ক থাকা উচিত ঘোষণার ক্ষেত্রে। বিভিন্ন দেশে এই মুহূর্তে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও এখনো পর্যন্ত নিশ্চিতরূপে বলা যায়নি, কবে বিশ্ববাজারে মিলবে এই অতিপ্রতিক্ষীত ভ্যাকসিন। যদিও রাশিয়া ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের দেশ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে। এবং তা নিয়ে বিতর্কও প্রচুর হচ্ছে। এই অবস্থায় চীনের করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের এই উদ্যোগ যথারীতি মানুষের মনে আশার আলো জাগাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!