এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিআরটি স্কেলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে গ্রেপ্তার প্রায় ১৫০ শিক্ষক নেতা

পিআরটি স্কেলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে গ্রেপ্তার প্রায় ১৫০ শিক্ষক নেতা


গতকাল থেকেই শহীদ মিনার চত্ত্বরে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা ইউইউপিটিডব্লুএর নেতৃত্ত্বে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেলের দাবিতে দুদিন ব্যাপী ধর্ণা ও আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। আর সংগঠনের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছিল – এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন। আর এই মানবিক আন্দোলনে যোগদানের জন্য তাঁরা রাজ্যের সমস্ত জন-প্রতিনিধি, গণ-সংগঠন ও সুশীল সমাজকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

কিন্তু এই আন্দোলনের মঞ্চে এসে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা। শিক্ষকদের এই আন্দোলনের তীব্রতায় ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার বলে দাবি করা হয় সংগঠনের তরফে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই শিক্ষকরা আগে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করুণ, তারপর আন্দোলনে নামবেন। যাঁরা বাতিল হয়েছেন তাঁরাই জড়ো হয়ে আন্দোলন করছেন। নিজেদের সংগঠনের নামে না গিয়ে অন্যের ব্যানারে গিয়ে আন্দোলন করছেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শিক্ষামন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে চূড়ান্ত অপমানিত শিক্ষকরা ঠিক করেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গিয়েই নিজেদের ‘যোগ্যতার’ প্রমান দেবেন। আর তাই আজ প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক মহামিছিল করে ধর্মতলার দিকে যান। কিন্তু শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এরপরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। সংগঠনের ও আন্দোলনের প্রথম শ্রেণীর সমস্ত নেতা-নেত্রী সহ গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ১৫০ শিক্ষক। ১০-১২ টি পুলিশ ভ্যান ও ৩-৪ টি পুলিশ গাড়ি করে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস, রাজ্য সভাপতি সন্দ্বীপ ঘোষ, মইদুল ইসলাম, বেলা সাহা, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, নাফিসা দেবী সহ প্রায় ১৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে গেছে কলকাতা পুলিশ।

তবে এহেন গ্রেপ্তারির পরেও কিন্তু আন্দোলনের তীব্রতা কোমর কোনো লক্ষণ নেই। শহীদ মিনার চত্ত্বরে এখনো ধর্ণা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক এবং বিভিন্ন গণ-সংগঠনের শীর্ষনেতারা এখনও সেখানে এসে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে – এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে, এমনকি স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার আবেদন জানানো হলেও রাজ্য সরকার কর্ণপাত করেনি। এবার শিক্ষক আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে শিক্ষকদের গ্রেপ্তারির মত চরম পদক্ষেপ নিয়ে কি রাজ্য সরকার আরও তীব্র করে তুলল সরকার বিরোধী আন্দোলন? এই প্রশ্নই এখন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়াচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!