এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম! তার আগেই দেশবাসীর জন্য বড়সড় সুখবর ঘোষণা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী?

শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম! তার আগেই দেশবাসীর জন্য বড়সড় সুখবর ঘোষণা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনা সংক্রমনের ফলে দেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয়। কর্মচ্যুত হন বহু দেশবাসী। দেশবাসীকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে ও অর্থনীতিকে সতেজ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ কালে দুবার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। তবে এই দুটি আর্থিক প্যাকেজ পর্যাপ্ত নয় বলে বিরোধী দল ও দেশের বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছিলেন। এবার দুর্গোৎসবের মরসুমে আরো একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

প্রসঙ্গত, লকডাউন ঘোষণার পর পর ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, এবার শহরে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ প্যাকেজ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে ঘোষণার বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মসংস্থানের সঙ্গে সঙ্গে বৃহৎ পরিকাঠামো নির্মাণ এর মুখ্য উদেশ্য হতে পারে।

শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, বৃহৎ পরিকাঠামো নির্মাণ, আবার এর সঙ্গেই চলতি আর্থিক বছরের অন্তত ২০ – ২৫ টি বড় প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশ দিতে পারে কেন্দ্র সরকার। আবার শহরের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, কৃষি পণ্য বিপণনের নতুন ব্যবস্থা, রেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ, সরাসরি নগদ অর্থ হস্তান্তর বা ডাইরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার বিষয়ক বেশ কিছু বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। দূর্গা পূজার আগেই এই ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনুমান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মনমোহন সিং সরকারের সময় থেকেই গ্রামের ১০০ দিনের কাজের মতো শহরেও একটি প্রকল্প চালু করার দাবি উঠেছিল। সরকার এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনাও করেছিল। নর্থব্লক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, গ্রামের ১০০ দিনের কাজের মতো শহরেও এরূপ একটি প্রকল্পের বিষয়ে কেন্দ্রের চিন্তাভাবনা আছে। তবে, গ্রামে এই প্রকল্পে কোন স্থায়ী সম্পত্তির উল্লেখ না থাকলেও, শহরের ক্ষেত্রে তা হবে না। সরকার কোনো স্থায়ী পরিকাঠামো বা সম্পদ সৃষ্টিতে শহরে এই প্রকল্প চালু করতে পারে। তবে, এই প্রকল্পে কাজ পাওয়ার আইনি অধিকার গ্রামের মানুষের থাকলেও থাকবেনা শহরে মানুষের। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের নির্দেশেই চলবে এই প্রকল্প।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন যে, করোনার ভ্যাকসিন দেশের মানুষের হাতে আসার সময় একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সম্প্রতি দেশজুড়ে উৎসবের কারণে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও সেই প্যাকেজ বাস্তবায়িত হতে হতে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাস চলে আসবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ওই সময়ের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন দেশের বাজারে চলে আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে পূর্বের মতো এবারেও কেন্দ্রীয় সরকারের এই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা নিয়ে যথেষ্ট রকমভাবে সরব বিরোধিরা। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই প্যাকেজগুলি শুনতে যতটা বড়, বাস্তবে ততটা নয়। তাদের দাবি এই প্যাকেজগুলি সম্পূর্ণই লোক দেখানো প্রস্তাব ছাড়া আর কিছুই নয়। বিরোধীদের অভিযোগ গত ৬ বছরে কেন্দ্র সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি যাতে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হতে পারে। পরিবর্তে দেশের পুঁজিপতিদেরই পকেট ভারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই দাবি বিরোধীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!